আলোচিত কিশোরী ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
বাংলাদেশ

আলোচিত কিশোরী ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু

দিনাজপুরের আলোচিত ধর্ষণ ও হত্যার শিকার কিশোরী ইয়াসমিনের মা শরিফা বেগমের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দাফনের আগে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

শুক্রবার (৩ মে) রাত ১১টায় দিনাজপুর শহরের গোলাপবাগ এলাকার নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এর আগে দুপুরে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ মরদেহ মর্গে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে শরিফা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীসহ বাথরুমে গেলে পা পিছলে পড়ে যান। এ সময় স্বামী তাকে ধরতে গেলে দুই জনই মেঝেতে পড়ে যান। এতে মাথায় আঘাত পান শরিফা, তার স্বামীও পড়ে গিয়ে বাম হাতে আঘাত পান। ছেলে দৌড়ে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় শরিফার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে দেখলেও আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে নাস্তা ও ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শরিফা বেগম। দুপুরে ঘুমের মধ্যে তিনি মারা যান। পরে পরিবারের স্বজনরা এসে দাফনের কাজ শুরু করেন।

সন্ধ্যায় জানাজার পূর্বে নিহতের মাথার পেছনের দিক থেকে রক্ত বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে শরিফা বেগমের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা জানা যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট একদল বিপথগামী পুলিশের দ্বারা ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন কিশোরী ইয়াসমিন। এই ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে দিনাজপুর। আন্দোলনরত জনতার ওপর পুলিশ গুলি চালালে নিহত হন ৩ জন। পরে আদালত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের ফাঁসির আদেশ দেন। এই ঘটনার পর থেকে ইয়াসমিন নারী নির্যাতন প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন। ২৪ আগস্টকে ঘোষণা করা হয় ইয়াসমিন ট্রাজেডি এবং নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস।

Source link

Related posts

‘এখন বাসা ভাড়ার টেনশন নেই, ঈদে খাবো-আনন্দ করবো’

News Desk

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন ও সমাবেশ

News Desk

ইলিশের দাম এবার বেশি কেন

News Desk

Leave a Comment