Image default
বাংলাদেশ

অত্যন্ত অসুস্থ খালেদা জিয়া

পুরোনা রোগের জটিলতায় অত্যন্ত অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে আজ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে দলটির মহাসচিব এই দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া করোনা হওয়ার পরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। আল্লাহর রহমতে কোভিডের যে আক্রমণ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং তার একটা পুরোনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়-আর্থারাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ভারনারেবল আছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন যে, উনার পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে সেই নেত্রীকে তার সুচিকিতসার ব্যবস্থা করা হোক, তাকে মুক্তি দেয়া হোক। তাকে অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে।

দেশবাসীর কাছে তার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। পোস্ট কোভিডের নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পরে ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে থাকতে হয়েছে এক মাস। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩ জুন বিশেষ কেবিন ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। গত ১০ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে বেরাইদ এলাকায় বিএনপি মহানগর উত্তরের উদ্যোগে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে আজকের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরাণ সালেহ প্রিন্স জানান, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিটি জেলায় পাঁচ হাজার করে নিমগাছ রোপন করতে প্রতিটি জেলা ও মহানগর নেতাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাথে নিমগামের উপকারী কী, সে সম্পর্কে একটি লিফলেটও বিতরণ করতে বলা হয়েছে।

মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাছিত আনজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় এতে অংশ নেন বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহসম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, মহানগর উত্তরের এজিএম শামসুল হক, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

Related posts

বেলা বাড়ার সঙ্গে চাপ বাড়ছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে

News Desk

এসেছে রামপালের কয়লা, অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

News Desk

‘৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মাথা ফাটানোর ছবি চাওয়া হয়’

News Desk

Leave a Comment