উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে গোল না করেও সেমিতে সিটি
খেলা

উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে গোল না করেও সেমিতে সিটি

যারা খেলা দেখেননি, তারা হয়তো পরে স্কোরলাইন দেখে এটা ভেবেছেন যে, ম্যাচটা অতটা উত্তেজনা ছড়ায়নি! যদি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে বলবো আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ, এই ম্যাচটিকে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ হিসেবে আনায়াসে আখ্যা দেওয়া যায়।

কী ছিল না এতে! নাটকীয়তা, উত্তেজনা, মারামারি, ঝগড়াঝাঁটি- সবই ছিল। কোনো পক্ষ গোল দিতে না পারলেও শেষ হাসি হেসেছে ম্যানচেস্টার সিটিই। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে এক গোলে জিতেছিল তারা। সেটিই এবার ফল নির্ধারণ করে দিলো। গতরাতে আতলেটিকোর মাঠে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় আরও ৯ মিনিট। কিন্তু সেটি ১১ মিনিট পর্যন্ত যায়। তাতেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে উভয় দল।

প্রথম লেগে পুরো রক্ষণাত্বক কৌশলে দলকে খেলিয়েছিলেন দিয়েগো সিমিওনে। গোল দেওয়ার জন্য খুব একটা চেষ্টা করেননি। গতরাতে ফিরতি লেগের প্রথমার্ধেও একই কৌশলে খেলে তারা। সিটির একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত থাকে। এর পরই তাদের মনে হয়, আরে সেমিতে যেতে হলে আমাদের তো গোল দিতে হবে। সেই চিন্তাই দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় অন্যরকম উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। দুই দলই আক্রমণাত্বক খেলেছে।



দ্বিতীয়ার্ধে সিটির গোলপোস্টে ১৩টা শট নিয়েছে আতলেটিকো মাদ্রিদ। অথচ প্রথমার্ধে তারা মাত্র একটি শট নিতে সক্ষম হয়। এতেই বুঝা যায়, গোলের জন্য দ্বিতীয়ার্ধে তারা কতটা মরিয়া ছিল। আর এটি করতে গিয়ে সিটির খেলোয়াড়দের সঙ্গে বারবার মারামারিতে জড়িয়েছে তারা। গোল দিতে ব্যর্থ হয়ে ধৈর্য্যহারাও হতে শুরু করলো আতলেটিকো। ৮৭ মিনিটের দিকে সিটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেনকে আতলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ফেলিপে মন্তেইরোর একটা ট্যাকল করেন। তাকে পেছন থেকে লাথি মারেন। তখন মাঠে কাতরাতে থাকেন ফোডেন। সেটি দেখে আতলেটিকোর আরেক ডিফেন্ডার স্তেফান সাভিচের মনে হলো, সে হয়তো নাটক করে সময় নষ্ট করছেন। কারণ, খেলার আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। সেটি নষ্ট করলেই যে সেমিতে উঠে যাবে সিটি।

তাই সেই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে ফোডেনকে টেনে তুলে চড়-থাপ্পড়ও মারতে চেয়েছিলেন সাভিচ। এর পরই উভয় দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মারামারি শুরু। মুহূর্তেই পুরো স্টেডিয়ামে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লো। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়ায় যে, সাভিচ আর সিটির ডিফেন্ডার নাথান আকেকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। আর ফেলিপে মন্তেইরোকে লাল কার্ড দেখানো হয়। সব মিলিয়ে পুরো ম্যাচে দশটা কার্ড দেখেছে উভয় দল।

সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি।

Source link

Related posts

রোজ হিল জুয়েল: ফোর্ডহ্যামের বাস্কেটবল আখড়াটি এক শতাব্দীর ইতিহাস এবং এর সাথে যে সমঝোতা হয়েছিল

News Desk

3 গেমের ক্ষতির সময় লেকাররা কি তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতাটিকে পরাস্ত করতে পারে?

News Desk

PWHL এর সাইরেন তাদের হোম ওপেনারে একটি প্রভাবশালী জয়ে ভক্তদের প্রচুর “আশ্চর্যজনক” উত্তেজনা প্রদান করে

News Desk

Leave a Comment