Image default
বাংলাদেশ

লকডাউনে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চায় বিজিএমইএ

করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খোলা রাখতে চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএ বলছে, কারখানা খোলা থাকলে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করবে। আর কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ি যেতে চাইবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। শ্রমিকদের মধ্যেও করোনা ছড়িয়ে পড়বে। শ্রমিকদের স্বার্থেই কারখানা খোলা রাখা জরুরি।

শুক্রবার (২৫ জুন) করোনা মোকাবিলায় সোমবার (২৮ জুন) থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

এ বিষয়ে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বলেন, লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম লকডাউনের আওতা বহির্ভূত থাকবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দিয়ে শনিবার (২৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান ঢাকা পোস্টকে জানান, লকডাউনে আমরা কারখানা খোলা রাখতে চাই। কারখানা খোলা থাকলে শ্রমিকরা নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। তাই শ্রমিকদের স্বার্থে আমরা কারখানা খোলা রাখতে চাই।

তিনি বলেন, কারখানাগুলো বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সুযোগ কমে যাবে। পোশাক খাতসহ দেশের অর্থনীতি পিছিয়ে যাবে।

Related posts

দাম কমবে জ্বালানি সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের

News Desk

বরগুনায় রাখাইনদের জলকেলি উৎসবে বর্ণিল আয়োজন

News Desk

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি গণহত্যাকে স্বীকৃতির প্রস্তাব মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে

News Desk

Leave a Comment