Image default
অন্যান্য

ঢাকাকে টপকে করোনার হটস্পট এখন খুলনা

ঢাকাকে টপকে করোনার হটস্পট এখন খুলনা। এ বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের শনাক্তের হারে শীর্ষে খুলনা বিভাগ। একই সময়ে অদৃশ্য এই ভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনা ও রাজশাহীতে।

এদিকে খুলনার করোনা হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। শয্যা সংকটে হাসপাতালের ফ্লোরেই চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। এ অবস্থায় শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাবনা রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে। এসময়ে খুলনা বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন ও ঢাকা বিভাগের ৬ জন মারা যান। এছাড়া চট্টগ্রামে ৬, বরিশালে ১, সিলেটে ৩, রংপুরে ১ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৯৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ২৬৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খুলনা বিভাগে শনাক্তের হার সর্বাধিক ৪০ দশমিক ৪২ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও ঢাকা বিভাগে শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২২২ জনের। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৯টি। মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৩ জন।

খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আরএমও সুহাস রঞ্জন হালদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫১ জন রোগী ভর্তি ছিল। তা বেড়ে বিকেলে হয়েছিল ১৫৪ জন। যেহেতু এখানে ১০০ বেড রয়েছে, তাই অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের ফ্লোরে রেখে সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৫৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট ৩১ জন, যশোরের ৫ জন, সাতক্ষীরার ৫ জন, ঝিনাইদহের ৬ জন ও নড়াইল জেলার ৪ জন রয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খুমেকের পিসিআর মেশিনে মোট নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩৭.৩১ শতাংশ।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, খুলনায় করোনার সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই। বাড়ির বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ কমানো সম্ভব।

Related posts

Messi needs Barcelona stay however FFP is holding up agreement expansion, claims president Laporta

News Desk

আইপিডিসি ফাইন্যান্স – এ অফিসার পদে চাকরি দিচ্ছে

News Desk

এক চোখের দৃষ্টিশক্তি, এক হাতের কর্মক্ষমতা হারালেন রুশদি

News Desk

Leave a Comment