পাল্লা অবশ্যই ভারী প্রবীণ খাড়গের। সরাসরি জানানো না হলেও তিনিই যে গান্ধী পরিবারের পছন্দের ব্যক্তি, সে বার্তা ছড়িয়ে গেছে। শনিবার বেলারিতে রাহুলের পাশে হেঁটে খাড়গেও সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। শশী থারুর তবু চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। শনিবার গুয়াহাটিতে প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খাড়গে আমারও নেতা। আমরা কেউই একে অপরের শত্রু নই। জিতলে আমি কংগ্রেসে পরিবর্তন ঘটাব।’
সাংগঠনিক কী কী পরিবর্তন তিনি আনতে চান, থারুর তা লিখিতভাবে প্রত্যেক ভোটারকে পাঠিয়েছেন। সেই অর্থে এই প্রথম সভাপতি পদের কোনো প্রার্থী নিজস্ব নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করলেন। থারুর বলেছেন, যিনিই জিতুন, জয় হবে কংগ্রেসের। গুয়াহাটিতে তিনি বলেন, ‘আমাকে যাঁরা সমর্থন করছেন, তাঁরা কেউ গান্ধী পরিবারের বিরোধী নন। এ ধারণাই ভুল। গান্ধীরা সব সময় কংগ্রেসের সঙ্গে আছেন। আমরাও।’ তিনি আরও বলেন, বয়স্ক নেতারা খাড়গেকে পছন্দ করছেন ঠিকই, কিন্তু যুব সম্প্রদায় ও কর্মীদের কাছ থেকে তিনি (থারুর) প্রবল সাড়া পাচ্ছেন। সভাপতি পদে জিতলে তাঁর প্রথম কাজ হবে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা রোখা।