Image default
আন্তর্জাতিক

তৃতীয় দফায় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হতে পারেন জিনপিং

শুরু হয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন, তৃতীয় দফায় নেতা হতে পারেন শি জিনপিং। ছবি: বিবিসি

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির তৃতীয় মেয়াদে নেতা নির্বাচিত হতে পারেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রবিবার (১৬ অক্টোবর) বেইজিংয়ে এক সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ওই সম্মেলন বা কংগ্রেসে এরই মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জিনপিং।

৫ বছর পর এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বিবিসির।

‘জিরো কোভিড নীতি অব্যাহত থাকবে’

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর ‘জিরো কোভিড’ নীতি একদিকে যেমন চীনে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে- অন্যদিকে কঠোর লকডাউন ও লোক চলাচল-ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানুষের জীবনে বিরাট দুর্ভোগ ডেকে এনেছে, ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতিরও । এসব কড়া বিধিনিষেধ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ক্রমশঃই বাড়ছে।

কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস শুরুর সময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই বেইজিংয়ে বেশ কিছু বিরল প্রতিবাদের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

অনলাইনে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে একজন লোককে লাউডস্পিকারে শ্লোগান দিতে দেখা যায়, বেইজিংএ একটি ব্রিজে দেখা যায় দুটি প্রতিবাদসূচক ব্যানার ঝুলছে। একটি ব্রিজের ওপর থেকে ধোঁয়ার কুন্ডলিও পাকিয়ে উঠতে দেখা যায়, কিন্তু কি কারণে ধোঁয়া উঠছে তা জানা যায়নি।

ব্যানারগুলোতে প্রতিবাদী বার্তায় কোভিড বিধিনিষেধ অবসানের দাবি যেমন ছিল, তেমনি শি জিনপিংকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার আহ্বানের মতো রাজনৈতিক বার্তাও ছিল। এ ধরনের প্রতিবাদ খুবই বিরল- তবে প্রেসিডেন্ট শি এগুলো আমলে নিচ্ছেন না বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘জিরো কোভিড কৌশল’ পাল্টাবেন না বা একে শিথিল করবেন না তিনি। এই জিরো কোভিড পলিসি দিয়েই চীনের মানুষ ভাইরাসের বিস্তারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

পার্টির নেতৃত্বে তৃতীয় মেয়াদ

কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর চীনের সাত দশকের ইতিহাসে মাও জেদং ছাড়া আর কোন নেতাই কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে এত দীর্ঘ সময় নেতৃত্বে থাকেননি। কিন্তু এটা হতে যাচ্ছে এবার, এবং পার্টির ডেলিগেটরা মি. শিকে আরো পাঁচ বছরের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হসেবে নির্বাচিত করবেন- এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

এর ফলে শি জিনপিং হবেন মাও জেদংএর পর চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতা।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কয়েকদিনে আগে একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছে- যাতে শি জিনপিংকে পার্টি ও নেতৃত্বের ‘কেন্দ্রবিন্দু’ বলে বলা হয় এবং তার পেছনে পার্টিকে একত্রিত হবার আহ্বান জানানো হয়।

শি জিনপিংকে এখন চীনের তিনটি সর্বাধিক ক্ষমতাধর পদে আছেন- চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক, দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্ট। চীনের প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষেত্রেও আগে এমন নিয়ম ছিল যে এক ব্যক্তি দু মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। চীনের সংস্কারক নেতা দেং শিয়াও পিং এটা করেছিলেন এই জন্য যেন চীনে আর কখনো মাও জেদংএর মত একক নেতৃত্বের উত্থান না হয়।

কিন্তু চীনে নেতা হিসেবে শি জিনপিংএর উত্থানের পর ২০১৮ সালে দেশটির রাবার-স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট এ নিয়ম বিলোপ করে। ফলে কার্যত মি. শি যতদিন খুশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন।

২০১২ সালে শি জিনপিং ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন এমন এক পথ নিয়েছে- যা একদিকে উচ্চাভিলাষী- আর অন্যদিকে তেমনি কর্তৃত্ববাদী।

তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা বাতিল করেননি শি

তাইওয়ান নিয়ে গত কিছুদিন ধরেই পুরো অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্বশাসিত তাইওয়ান দ্বীপটিকে চীন তার নিজের অংশ মনে করে এবং এটিকে তাদের মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত করার ব্যাপারটি বহুকাল ধরেই চীনের অন্যতম লক্ষ্য ।

এ ব্যাপারে শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশের ‘পূর্ণাঙ্গ পুনরেকত্রীকরণ’ অবশ্যই হবে ও হতেই হবে, এবং ‘চীন এ জন্য শক্তি প্রয়োগ করবে না- এমন অঙ্গীকার কখনো করা হবে না’। এ সময় কংগ্রেসে আগত ডেলিগেটরা অনেকক্ষণ ধরে করতালি দেন।

Source link

Related posts

কিউবার রাজধানীতে পাঁচ তারকা হোটেলে বিস্ফোরণ, নিহত ২২

News Desk

মৃত প্রার্থীর পক্ষে ৮৫ ভাগ ভোট

News Desk

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এরদোয়ানের হুঁশিয়ারি

News Desk

Leave a Comment