Image default
জানা অজানা

বিশ্বে ত্রাণপ্রত্যাশী মুখ এক বছরে ২৫% বাড়ছে: জাতিসংঘ

ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন, ২০২৩ সালে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৯০ লাখে গিয়ে ঠেকবে বলে আভাস দিয়েছে জাতিসংঘ, যা আগের বছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি।

বুধবার জাতিসংঘের মানবিক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস এমন সতর্কবার্তা দেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং চলমান কঠিন খাদ্য সংকটকে ভুখা মানুষের মিছিলের মুখ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে।

বর্তমান সংকটের মধ্যে থেকে গ্রিফিথস বলেন, নিঃসন্দেহে সামনের বছরে এসব সমস্যা স্থায়ী হতে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে বিশ্বের যে জনসংখ্যা, সে হিসেবে প্রতি ২৩ জনের মধ্যে একজন আগামী বছর মানবিক ত্রাণ প্রত্যাশীর দলে থাকবে।

২০২২ সালের কয়েকটি ‘চরম ঘটনা’র কারণে নতুন করে অন্তত সাড়ে ৬ কোটি ৫ লাখ মানুষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বলে জানান গ্রিফিথস।

এই ৩৩ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মুখে আহার জোগাতে অন্তত ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে হিসাব দিয়েছেন তিনি। তবে প্রয়োজনীয় অঙ্কের মাত্র ৪৪ শতাংশ অর্থ পেয়েছে জাতিসংঘ ও তার অংশীদার এজেন্সিগুলো।

‘সহায়তা প্রয়োজন’- এমন মানুষের সংখ্যা চীন এবং ভারতের পর তৃতীয় জনবহুল দেশের সমান; যাকে একটি ‘হতাশাজনক’ সংখ্যা হিসেব উল্লেখ করেন মার্টিন।

এদিকে সহায়তা লাগবে এমন ৬৮টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইউক্রেইন, ইথিওপিয়া, কঙ্গো ও সোমালিয়ার মতো ১০টি দেশকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জাতিসংঘ।

তবে যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে এসব দেশ দুর্ভিক্ষের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা এসব দেশে তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম বলে সংস্থাটির ভাষ্য।

এ বছর জাতিসংঘ ও এর অংশীদাররা ২৩ কোটি মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর আশা করছে। অন্যান্য সংগঠন ও দাতারা দ্বিপাক্ষিকভাবে বাকিদের সহযোগিতা করবে এমন আশাও প্রকাশ করে সংস্থাটি।

প্রয়োজনের মাত্র ৪৪ শতাংশ পাওয়া গেছে জানিয়ে জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা বলেন, দাতারা আগের মতই সহযোগিতা করছে। কিন্তু এত বড় অংশ সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।

“পার্থক্যের কারণে হয়েছে, তহবিলের কারণে হয়নি। চাহিদা বাড়ছে, কারণ আমরা ইউক্রেইন যুদ্ধ, কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

২০২৩ সালে এসব সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

জাতিসংঘ সতর্ক করে আরও বলছে, ৫৩টি দেশের অন্তত ২২ কোটি ২০ লাখ মানুষ এই বছরের শেষ নাগাদ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হবে। একই সঙ্গে ৩৭টি দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারীসহ কলেরা ও অন্যান্য রোগের পুনরুত্থানে জনস্বাস্থ্য অবকাঠামো ভেঙে পড়ার শঙ্কার কথাও বলছে জাতিসংঘ।

Related posts

অক্টোপাস: আট পায়ের সেই বুদ্ধিমান প্রাণিটি

News Desk

ইংরেজি বাক্য গঠনের সহজ নিয়ম

News Desk

মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিস্ময়কর ৭ টি অজানা তথ্য

News Desk

Leave a Comment