মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে সাবাহগামী চলন্ত এয়ারএশিয়ার অভ্যন্তরীণ একটি ফ্লাইটের লাগেজ রাখার কম্পার্টমেন্টে একটি বিষধর সাপ দেখতে পাওয়ার পর যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট একে৫৭৪৮ তাওয়াউ, সাবাহর উদ্দেশে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটেছে।
বিমানটি প্রায় এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার যাওয়ার পর প্রথমে একজন টিকটক ব্যবহারকারীর চোখে পড়ে এবং সেটিকে সে ভিডিও ধারণ করে। এতে দেখা যায়, বিষধর সাপটি হ্যান্ড লাগেজ রাখার কম্পার্টমেন্টের এক পাশ থেকে অন্য পাশে ধীরে ধীরে যাচ্ছিল। এসময় যাত্রীমহলে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর বিমানের ক্যাপ্টেনকে যখনই বিষয়টি অবগত করা হয়, তখনই তিনি বিমানটিকে ধোঁয়া দেওয়ার জন্য গন্তব্যের প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কুচিংয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সাপটি কোন ধরনের, তা এখনও জানা যায়নি এবং কী অবস্থায়, কীভাবে সাপটি বিমানে প্রবেশ করলো তাও জানা যায় নি। তবে মালয়েশীয় মেডিকেল গেজেট অনুযায়ী, দেশটির ১৪০টি সাপের মধ্যে প্রায় ১৮টি প্রজাতিই বিষাক্ত। দেশে পাওয়া বিষাক্ত প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে কোবরা, মালয়ন পিট ভাইপার, ম্যানগ্রোভ এবং মাউন্টেন ভাইপার, ডোরাকাটা কোরাল সাপ এবং স্পেকড কোরাল সাপ।
পরে সাপটিকে উদ্ধার করার পর নিয়ম মেনে বিমানটি সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করে ক্ষতিগ্রস্ত সব যাত্রীদের কুচিং থেকে তাওয়াউয়ের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত কোনও বিমান আসা যাওয়ার সময়ে নিরাপত্তার স্বার্থে খুঁটিয়ে তল্লাশি চলে। কিন্তু এয়ার এশিয়ার এই বিমানটি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাবাহে ওড়ার আগে সাপটি কারও নজরে এল না কেন? এই প্রশ্ন উঠছে। সেইসঙ্গে বিমানে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে।
তথ্য সূত্র : সময় নিউজ