আমাদের এই মহাকাশ যেমন রহস্যময়,তেমনি পৃথিবীতেও এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে যার কোনো ব্যাখ্যা বিজ্ঞানী এমনকি কেউ দিতে পারেনি। আজকে আলোচনা করবো পৃথিবীর রহস্যময় কিছু ঘটনা নিয়ে। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা, জিনিস, বিষয় রয়ে গেছে যার সমাধান এখনো পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি। শুরু করা যাক পৃথিবীর রহস্যময় কিছু ঘটনা ও রহস্যময় জায়গা কে কেন্দ্র করে।
১। পিরামিড তৈরীর রহস্য
![পিরামিড তৈরীর রহস্য](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/shutterstock_91826000.0-300x200.jpg)
বহুভুজের উপর অবস্থিত যে ঘনবস্তুর একটি শীর্ষবিন্দু থাকে এবং যার পার্শ্বতল গুলো প্রত্যেকটি ত্রিভুজাকার তাকে পিরামিড বলে। মিশরে মোট ৭৫ টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় পিরামিডটি হলো গিজার পিরামিড যা খুফু’র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত। খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর পূর্বে এই গিজার পিরামিডের সৃষ্টি বলে ধারনা করা হয়। এর উচ্চতা ৪৮১ ফুট এবং এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর অবস্থিত। প্রায় বিশ বছর ধরে এক লাখ শ্রমিকের দ্বারা এটি তৈরি করা হয়। এই পিরামিডটি তৈরি হয় বিশাল বিশাল পাথর দিয়ে যার প্রত্যেকটির ওজন প্রায় ৬০ টন এবং দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট। প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির ছোঁয়ায় বর্তমানে হয়তো এত ভারী পাথর উত্তোলনের যন্ত্র বের হয়েছে। কিন্তু প্রায় সাত হাজার বছর পূর্বে যখন প্রযুক্তির কোন ছোঁয়া ছিল না সেই সময়ে এত ভারী পাথর দিয়ে কিভাবে এই পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছিল সেই রহস্য আজও মানুষের নিকট অমীমাংসিত।
২। ভয়নিখের রহস্যময় পান্ডুলিপি
![ভয়নিখের রহস্যময় পান্ডুলিপি](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/Tt4wkGzr-300x169.png)
আজ থেকে ১০০ বছর আগে রহস্যময় এই পান্ডুলিপিটি পাওয়া যায়। পোলিশ-আমেরিকান পুস্তক বিক্রেতা প্রত্নতাত্ত্বিক উলফ্রিড ভয়নিখ ১৯১২ সালে এক নিলামের মাধ্যমে এই পান্ডুলিপিটি ক্রয় করেন।উইলফ্রিড ভয়নিখ এর মালিক বিধায় এর নামকরন হয় ভয়নিখের পান্ডুলিপি।
কিন্তু এর ভিতরের কোন লেখার মর্মার্থ তো দূরের কথা একটি বর্ণও কেউ পড়তে পারেনি। কি নেই এই পান্ডুলিপিটিতে? ফুল,ফল, সংখ্যা, জ্যামিতিক নকশা, গ্রহ, নক্ষত্র, ছবি। এ যেন এক মহা দুর্বোধ্য ধাঁধা। প্রথমদিকে এর লেখক কে তা বের করতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল। পরবর্তীতে বহু চেষ্টা তদবীর করে এর লেখক রজার বেকন এর নাম জানা গেলেও এটাতে তিনি কোন বিষয়ে কি লিখে গেছেন তা জানা জায়নি। কেউ মনে করেন এটাতে তিনি সোনা তৈরীর পদ্ধতি লিখে গেছেন। আবার কেউ মনে করেন এটাতে তিনি আত্মার গোপন রহস্য বলে গেছেন। কারো মতে এটাতে মৃত্যুর ওপারের কথা কিংবা অমরত্বের কথা লেখা আছে ইত্যাদি। কেউ আবার দাবি করেছেন এর চৌদ্দটি বর্ণ তিনি বুঝতে পেরেছেন। কেউ আবার এর দশটি শব্দ বুঝেছেন বলেও দাবি করেছেন। কিন্তু আজ অবধি কেউ এর পরিপূর্ণ মর্ম উদঘাটন করতে সক্ষম হননি। এই পান্ডুলিপিটি মানুষের নিকট অমীমাংসিত রহস্যই রয়ে গেছে।
৩। মারফা লাইট, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র
![মারফা লাইট, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/istockphoto-936942714-612x612-1-300x200.jpg)
রহস্যময় আলোর খেলা ঘটে চলেছে টেক্সাসের মারফা নামের একটি জায়গায়। সেই আলোকে ”ভৌতিক আলো হিসেবে” আখ্যায়িত করা হয়। কারন, এই জায়গার উপরে ৬ ধরনের আলোর দল আকাশের উপরে ঘোরাঘুরি করছে। অনেকটা ভৌতিক ব্যাপার। ১৮৮৩ সালে প্রথম এ আলোর নৃত্য দেখতে পায় পাশের অঞ্চলে কাজ করা কিছু মানুষে চোখে। স্থানীয় আমেরিকানরা এ আলোকে ধারণা করছে, মহাকাশ থেকে যে তারা পতিত হয়, সেসব তারার কারনেই এ ধরনের আলো দল বেধেঁ আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এর পরে আর যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার আর কোনো ব্যাখ্যা নেই তাদের কাছে।
আধুনিক যুগে মারফা লাইট (Marfa Light) এর উপস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট করতে থাকে। আলো গুলোর সাইজ প্রথমে বাস্কেটবলের মতো থাকে। তারপর বিভিন্ন আকার গঠন করতে থাকে। এ পর্যন্ত ৬ টি আলোর দল প্রতিনিয়ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঐ জায়গাকে কেন্দ্র করে। সাদা, লাল, নীল, হলুদ, কমলা এবং সবুজ কালারের আলোর দল। তবে এ আলো কোনো ধরনের বিপদ বা বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করতে দেখা যায়নি এখনো।
এয়ারফোর্স, আবহাওয়াবিদ,পদার্থবিদ ও গবেষকেরা এ ”মারফা লাইট” সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে কিন্তু কেউ কারো সাথে একমত নয়। অনেকে ব্যাখ্যা দিয়েছে এ ধরনের আলো স্পেসশিপগুলোর কারনে ঘটতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী এই আলোর রহস্য খুব তাড়াতাড়ি বের করতে সক্ষম হবে তারা। আরো বলেছে পৃথিবীর রহস্যময় কিছু ঘটনা ও রহস্যময় জায়গা নিয়েও তারা গবেষণা চালাচ্ছে।
৪। বারমুডা ট্যায়াঙ্গেল
![বারমুডা ট্যায়াঙ্গেল](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/bermuda-triangle-2-22-1477127656-300x225.jpg)
মিয়ামি, বারমুডা, ফ্লোরিডা এবং পুয়ের্তো রিকোর মধ্যবর্তী উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি রহস্যময় অংশ। যেখানে অনেক জাহাজ, বিমান এখানে এসে কোথায় নিখোঁজ হয়ে গেছে এখনো জানা সম্ভব হয়নি। সবগুলো ঘটনার মধ্যে অন্যতম যে ঘটনাটি এখনো মানুষের আলোচনায় রয়ে গেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের চিরতরে নিখোঁজ হওয়া। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নামক মহাসাগরের এই অংশে এসেই পাইলট হঠাৎ করেই বিচলিত বোধ করা শুরু করে, যা জানা যায় কন্ট্রোল রুম কক্ষ থেকে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল প্রায় ৫,০০,০০০ বর্গমিটার মহাসাগর জুড়ে বিস্তৃত। যা অমীমাংসিত পৃথিবীর রহস্যময় কিছু ঘটনা ও জায়গা এর মধ্যে অন্যতম।
ক্রিস্টোফার কলোম্বাস সাগরপথে পৃথিবী ভ্রমনের সময় এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে একটি রিপোর্ট করেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক রাতের মধ্যেই আগুনের বৃহৎ শিখা ( যাকে উল্কা বলা হয়) সমুদ্রের মধ্যে বিধ্বস্থ হয় এবং সেই থেকেই এই অঞ্চলে আলোর দৃষ্টিগোচর হয়। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের ‘দ্য টেম্পেস্ট’ নাটকেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে জাহাজডুবি নিয়ে লেখা হয়েছে যা নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই রহস্যে। বিশ শতকের আগে এ অঞ্চল নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা ছিলো না।
কিন্তু ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বার্বাডোজ ও সেপাসি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। জাহাজটিতে ৩০০ জন মানুষ ও প্রায় ১০,০০০ টন ম্যাঙ্গানিজ ছিলো। যা হঠাৎ করেই কোনো সংকেত ছাড়াই নিখোঁজ হয়ে যায়। যা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে এবং ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। এরপরই আবার ১৯৪১ সালেও দুটি সাইক্লোপস জাহাজ নিখোঁজ হয়ে যায় কোনো কারন ছাড়াই। আর সেই থেকেই মানুষ বিশ্বাস করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল দিয়ে কোনো জাহাজ গেলে হয়ে হারিয়ে যায় না হয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
৫। রহস্য দ্বীপ বাল্ট্রা
![রহস্য দ্বীপ বাল্ট্রা](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/baltra-island-300x183.jpg)
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ। তারমধ্যে একটি দ্বীপের নাম হল বাল্ট্রা দ্বীপ। ঐ দ্বীপপুঞ্জের ১২টি দ্বীপ ঠিক থাকলেও বাল্ট্রা দ্বীপ শুধু ব্যতিক্রম। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল হওয়ায় সেখানে প্রায়ই বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বৃষ্টির একটি ফোঁটাও বাল্ট্রা দ্বীপে পড়ে না। এই দ্বীপে অবস্থান করার সময় অভিযাত্রী নাবিকদের কম্পাস অস্বাভাবিকভাবে স্থির হয়ে থাকে অথবা শুধু একদিকে কাত হয়ে থাকে অথবা ভুল দিক প্রদর্শন করে। প্লেনে থাকাকালীন সময়েও একই আচরন করে। এখান থেকে চলে গেলে আবার ঠিক হয়ে যায়। এই দ্বীপে কোন গাছ কিংবা পশুপাখি নেই। উড়ন্ত পাখিরা উড়ে এসে বাল্ট্রার কাছে এসে আবার ফিরে যায়। যেন কোন অদৃশ্য দেয়ালে বাঁধা পড়ে। অনেকে মনে করেন এই দ্বীপে অস্বাভাবিক কোন শক্তির অস্তিত্ব রয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কেউ এর কোন সুরাহা করতে পারেননি।
৬। মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০
![plain](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/Boeing_777-200ER_Malaysia_AL_MAS_9M-MRO_-_MSN_28420_404_9272090094-300x200.jpg)
সবচেয়ে সাম্প্রতিক নিখোঁজ রহস্যগুলোর মধ্যে একটি হলো মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০, যা শনিবার ৮ মার্চ, ২০১৪ তারিখে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। মালয়েশিয়ার থেকে বেইজিং পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল এটি। ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্যকে বহন করেছিল। উড়োজাহাজটি বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে তার শেষ ভয়েস যোগাযোগটি করে টেক অফের এক ঘণ্টা এবং রাডারে পর্দা থেকে নিখোঁজ হয় কয়েক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। মালয়েশীয় সামরিক রাডারটি প্রায় এক ঘণ্টার পর বিমানটি ট্র্যাক করে, এটি তার উড়োজাহাজ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর থেকে আন্দামান সাগর পর্যন্ত রাডারের পরিসীমা বজায় রেখেছিল।
বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে কোনো সংকটের সংকেত, খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবাণী বা প্রযুক্তিগত – কোনো সমস্যার কথা বলা হয়নি। অনেকেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, ভারত মহাসাগরে এই ফ্লাইট শেষ হয়েছে এবং এখনও অনুসন্ধান চলছে, সেখানে কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।
৭। রহস্যময় সবুজ রঙের ভাই বোন
![রহস্যময় সবুজ রঙের ভাই বোন](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/pic-green-brother-sister-300x202.jpg)
দ্বাদশ শতাব্দীতে হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের উলপিটে একজোড়া ভাই বোনের উদয় হয়। তারা সবদিক থেকেই সাধারণ মানুষের মতো ছিল। তবে তাদের গায়ের রং ছিল অস্বাভাবিক সবুজ রঙের। তারা দুই ভাই বোন অজানা ভাষায় কথা বলতো, অদ্ভুত পোশাক পরিধান করতো এবং খাবার হিসেবে শুধু কাঁচা শিম খেতো। কিছুদিন পর অবশ্য তাদের মধ্যে ছেলেটি মারা যায় কিন্তু মেয়েটি বেঁচে ছিল। মেয়েটি পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করেছিল এবং অন্যান্য খাবার খাওয়া শিখেছিল। ধীরে ধীরে মেয়েটি তার গায়ের সবুজ রং হারাতে শুরু করে। সে অন্যদের বলেছিল যে, তারা দুই ভাই বোন সেন্ট মার্টিন্স ল্যান্ড থেকে এসেছে। তার ভাষ্য মতে, সেন্ট মার্টিন্স একটি ভূগর্ভস্থ এলাকা যেখানে সবাই সবুজ গাত্র বর্ণের অধিকারী।
এই গল্পের ভিত্তি পরিষ্কার নয়। কেউ কেউ এটিকে নিছক পরীর গল্প মনে করেন। কেউ আবার মনে করেন সত্য গল্পের কিছুটা রদবদল হয়েছে। কেউ আবার এখনো মনে করেন তারা হয়তো আসলেই ভূগর্ভস্থ পৃথিবীর কোনো অশরীরী প্রাণী ।
৮। নাচের মহামারী
![নাচের মহামারী](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/fa0c259828e2fca87ed161a598a40d24744c9783b45222df73e6fce73e442ae6-300x169.jpg)
নাচের মহামারী, কথাটির মধ্যেই কেমন জানি একটা রহস্য রহস্য ভাব আছে। ১৫১৮ সালের জুলাই মাসে অদ্ভুত এক ঘটনার সাক্ষী হয় পৃথিবী। মিসেস ত্রোফফেয়া নামের এক নারী নাচতে শুরু করেন। কিছুতেই তার নাচ থামছিলো না। ১ সপ্তাত ধরেই চলতে থাকে তার নাচ। সপ্তাহ পরেই আরো ৩৪ জন ব্যক্তি তার সাথে নাচতে শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে সবাই যোগ হতে থাকে। অবিরাম এক মাস পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের নাচ। ধারণা করা হয় ক্লান্তি, হার্ট অ্যাটার্ক, উচ্চ রক্তচাপের কারনে প্রাণ হারায় ৪০০ জন ব্যক্তি। দীর্ঘ এক মাস নাচতে থাকা প্রায় অসম্ভব। আর এসব বিভিন্ন জটিলতার কারনে আজও বিজ্ঞানীরা এর রহস্য উন্মোচন করতে পারেন নি।
৯। পোলক টুইনস
![পোলক টুইনস](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/cms_images_originals_pollockF_1591761731473-1-300x200.jpg)
১৯৫৭ সালে, দুই বোন, জোয়ানা (১১) এবং জ্যাকলিন (৬) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এক বছর পর, তাদের মা জমজ সন্তানের জন্ম দেন একজন জেনিফার ও গিলিয়ান। তারপর তিনি একটি অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করেন। জেনিফারের দেহে জন্ম চিহ্ন ছিল যা জ্যাকলিনের মতোই। তাদের মা তাদের নিয়ে একটি গেম খেলেন। যেখানে জেনিফার এবং গিলিয়ান, জোয়ানা এবং জ্যাকলিন যেভাবে মারা যায় তারা ঠিক সেই দৃশ্যের মতোই খেলছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বাবা মা কখনোই মেয়েদের সাথে দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেননি। ঘটনা শুনে মনোবিজ্ঞানী ডাঃ ইয়ান স্টিভেনসন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সম্ভবত এই যমজ তাদের বোনদের পুনরুত্থান ছিল।
১০। জোডিয়াক কিলার
![killer jodiyek](https://www.bangladiary.com/wp-content/uploads/2021/04/Sec_arstechnica_zodiackiller-515392386-300x169.jpg)
জোডিয়াক কিলার ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত নিখোঁজ হত্যাকারীর একজন। ১৯৬৯ সালে সান ফ্রান্সিসকো এলাকায় কমপক্ষে পাঁচ জনকে হত্যা করার জন্য তিনি দায়ী ছিলেন। বিষয়টিকে আরও খারাপ করার জন্য, খুনী নিজেকে বেশ কয়েকটি হত্যায় আহ্বান জানায়, সংবাদপত্রগুলোতে সাংকেতিক চিঠি পাঠায় এবং এমনকি একটি রক্তাক্ত শার্টের টুকরোতেও পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে কখনও ধরা যায়নি। বেশ কয়েকজন সন্দেহ ভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু মামলাটি কখনোই সমাধান করা হয়নি।
সূত্র: যূথিকার্ণিভাল, বিবিসি, উইকিপিডিয়া