১. চীন

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীনের বর্তমান জিডিপির আকার ৩১ দশমিক ৮৫।দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমাণ ২৩ ট্রিলিয়ন ডলার। চীনকে বলা হয় ‘পৃথিবীর কারখানা’। ১৯৮০ সালে দেশটি ৩০৫.৩৫ বিলিয়ন ডলার নমিনাল জিডিপি নিয়ে শীর্ষ অর্থনীতির দেশের তালিকায় ৭ নম্বরে ছিল। ওই সময় মার্কিন জিডিপির আকার ছিল ২.৮৬ ট্রিলিয়ন ডলার। আইএমএফ’র তথ্য, ২০১৮ সালে চীনের জিডিপি ছিল ১৩.৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার; যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৭.২১ ট্রিলিয়ন ডলার কম ছিল। গতবছর দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল চলতি বছর এই ব্যবধানে নেমে আসবে ৭.০৫ ট্রিলিয়নে আর ২০২৩ সালে দুই দেশের জিডিপির ব্যবধান নেমে আসবে ৫.৪৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। নমিনাল হিসেবে চীনের জিডিপি’র আকার ২য় শীর্ষ হলেও ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) চীনই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ। এই হিসাবে দেশটির জিডিপির আকার ২৫.২৭ ট্রিলিয়ন ডলার। বলা হয়েছিল, পিপিপি’র হিসাবে ২০২৩ সালে চীনের জিডিপি দাঁড়াবে ৩৬.৯৯ ট্রিলিয়ন ডলারে।যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের পরে এখন দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস।
২. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

চার দশক পরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির আসনটি হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৮৭১ সাল থেকেই মার্কিন অর্থনীতিই বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি। ২০১৮ সালে দেশটির জিডিপি’র আকার ছিল ২০.৫৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার দাঁড়ায় ২২ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন ডলার।নতুন বছর মানে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির আকার হবে ২৩ দশমিক ১৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে, এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল করোনা মহামারীর আগে। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতেও (পিপিপি) মার্কিন অর্থনীতির আকার একই।সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ সঞ্চিত আছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে, পরিমাণ ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
৩. ভারত

ভারত এখন বিশ্বের ৩ম বড় অর্থনীতি। ভারতের নমিনাল জিডিপির আকার ১৩.৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার আর ক্ষয় ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) এর পরিমাণ ১০.৫১ ট্রিলিয়ন। ভারতের সেবা খাত এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রসরমাণ খাত। অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান ৬০ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানে এই খাতের অংশ ২৮ শতাংশ। জাপান ও জার্মানি টপকে (২০১৯) ৩ম স্থানে উঠে আসে ২৮ প্রদেশের এই দেশ।
৪. জাপান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কা সামলে বর্তমানে বেশ গোছালো অর্থনীতির দেশ জাপান। সূর্যদয়ের এই দেশটির নমিনাল জিডিপি ৬.০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বিশ্বের ৪ তম বড় অর্থনীতির এই দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত হচ্ছে ইলেকট্রনিক পণ্য।২০০৮ সালের আর্থিক মন্দার ক্ষত এখনো দেশটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গত বছরই (২০১৯) দেশটি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি মাইলফলক স্পর্শ করে। তবে সবার আশা, ২০২১ সালের অলিম্পিক জাপানের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারবে।
৫. জার্মানি

বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ জার্মানির নমিনাল জিডিপি ৪.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার ।চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছে এমন অর্থনীতির মধ্যে জার্মানি সবচেয়ে এগিয়ে। ইউরোপের মধ্যে এই দেশের অর্থনীতির আকারই সবচেয়ে বড়।গাড়ি, ভারী যন্ত্রপাতি, গৃহসামগ্রী আর রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনে জার্মানি সেরা। ১৯৮০ সালে ৮৫০.৪৭ বিলিয়ন নমিনাল জিডিপি নিয়ে ৩য় শীর্ষ স্থানে ছিল দেশটি। ২০১৬ সালে জার্মানির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.২ শতাংশ আর ২০১৭ সালে হয়েছে ২.৫ শতাংশ।
৬. রাশিয়া

দেশটির নমিনাল জিডিপির আকার ৪.৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির শিল্পকারখানা কমে গেছে। ফলে তার রপ্তানির সিংহভাগই আসে প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে।
৭. ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া নমিনাল জিডিপির আকার ৪.৩০ ট্রিলিয়ন ডলার । ২০২১ ইন্দোনেশিয়া ৭ম স্থানে উঠে আসে ।
৮. ব্রাজিল

দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের নমিনাল জিডিপির আকার ৩.৭৬ ট্রিলিয়ন ডলার আর পিপিপিতে ৫.২৮ ট্রিলিয়ন ডলার। রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দেশটির ব্রিকস সদস্য।
৯.যুক্তরাজ্য

ইউরোপের এই দেশের নমিনাল জিডিপির আকার ৩.৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য ২০২১ সালে অর্থনীতি নিচে নেমে আসে ।
১০. ফ্রান্স

ফ্রান্সের নমিনাল জিডিপি ৩.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার। যফ্রান্স ২০২১ সালে অর্থনীতি নিচে নেমে ১০ম আসে ।