সাহসিকাদের বরণ করতে জনতার স্রোত বিমানবন্দরে
খেলা

সাহসিকাদের বরণ করতে জনতার স্রোত বিমানবন্দরে

শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। আর কিছুক্ষণ পরই দেখা যাবে ইতিহাস লিখে সাফের শিরোপা জেতা বাংলার অদম্য নারীদের মুখ। নেপালের কাঠমুন্ডু থেকে আর কিছুক্ষণের ভেতরেই ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে সাবিনা-সানজিদারা। বাংলার সোনার মেয়েদের বরণ করে নিতে ইতোমধ্যেই বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছে অগণিত জনতা।

আজ দুপুর ১ টা ৫০  মিনিটে ঢাকার মাটিতে পা রাখার কথা সানজিদাদের। বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে মতিঝিলের বাফুফে কার্যালয়ে পৌছাবে সানজিদারা। 

এদিকে, আজ বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দরের আশেপাশে ভিড় করতে থাকে সমর্থকরা। কেউ জাতীয় পতাকা হাতে, কেউ ফুল হাতে, কেউ ব্যানার নিয়ে অপেক্ষায় সাবিনা-সানজিদাদের বরণ করে নিতে।

ইতিহাস গড়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেয়েরা দেশে পৌঁছানোর আগেই তাদের জন্য ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসবি)। 



এদিকে, সানজিদাদের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাস। ফুটবল পাগল বাঙালিকে স্বপ্নপূরণের স্বাদ দিয়েছে অদম্য কিশোরীরা। এবার এই মেয়েদের স্বপ্নপূরণ করতে চলেছে গোটা দেশ। ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে চড়েই সাফের ট্রফি নিয়ে দেশবাদীর উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হতে হতে চ্যাম্পিয়ন যাত্রা করবে সানজিদারা।

দেশের স্বপ্নপূরণের আগে বেশ আক্ষেপ করেই বাংলাদেশের মিডফিল্ড তারকা সানজিদা বলেছিলেন, ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী কে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। ‘

সানজিদার ওই এক লাইনেই ঝড় উঠেছে দেশের মানুষের হৃদয়ে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আপামর জনসাধারণও এই মেয়েদের জন্য ছাদখোলা বাসের দাবি জানিয়েছিলো।

সানজিদার ওই ফেসবুক পোস্ট চোখে পড়েছিলো যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের। পরে মন্ত্রণালয় আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) যৌথ প্রচেষ্টায় একদিনের ভেতরেই সানজিদাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাস। বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাসের ছাদের অংশ কেটে ফেলে, সেই বাসটিকেই চ্যাম্পিয়নদের ছবিতে মুড়িয়ে তৈরি হয়েছে সানজিদাদের স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন বাস। 


বিমানবন্দরে দেশবাসীর শুভেচ্ছায় সিক্ত হবে সোনার মেয়েরা। ছবি- সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন  যাত্রার আগে বিমানবন্দরে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। মিষ্টি আর ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েই বরণ করে নেওয়া হবে দেশকে ট্রফি উপহার দেওয়া এসব অদম্য কিশোরীদের।

এরপরও শুরু হবে সানজিদাদের চ্যাম্পিয়ন যাত্রা। ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নয়ে সাদারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবেন সাবিনা-সানজিদারা।

চ্যাম্পিয়ন যাত্রা শেষে মতিঝিলে বাফুফে কার্যালয়ে পৌঁছালে সেখানে এই সোনার মেয়েদের অভ্যর্থনা জানাবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। 

Source link

Related posts

ট্রাম্পের নাতি ফুটবল খেলেন, ডলফিনের সাথে দাবা

News Desk

এমএলবি, ইএসপিএন স্প্যান্টিং মালিকানাধীন টিয়ার

News Desk

“আমি ভেবেছিলাম এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মিথ্যা জিনিস”।

News Desk

Leave a Comment