খেলার জগতে যত মুখোমুখি লড়াই আছে, এর মধ্যে অন্যতম আকর্ষণীয় ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই। প্রতিবেশী এই দুই দেশের ম্যাচের উত্তাপ অনেক সময় মাঠের খেলাকেও ছাপিয়ে যায়। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে বেশ লম্বা সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
প্রতিবেশী দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রায় ১০ বছর ধরে হয় না কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। শুধু আইসিসি এবং এসিসির টুর্নামেন্টগুলোতেই দেখা মেলে দুই দেশের লড়াইয়ের।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রোমাঞ্চ নিয়মিতই দেখতে চান সমর্থকেরা। শুধু সমর্থকই নন, সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়েরাও থাকেন এই ম্যাচের অপেক্ষায়। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক ইঞ্জিনিয়ার তো বলেই দিয়েছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে তিনি প্রয়োজনে মঙ্গল গ্রহে যেতে রাজি।
আর অস্ট্রেলিয়ার টি-টেয়োন্টি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলেছেন, কোহলি-বাবরদের লড়াই দেখতে অবসরে যাওয়ার তর সইছে না তাঁর।
মেলবোর্নে ৯০ হাজারের বেশি দর্শকের উপস্থিতিতে কদিন আগেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। গ্যালারিতে উপচে পড়া দর্শকদের অবশ্য নিরাশ করেনি দুই দল। উপহার দিয়েছে রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ। সেই উত্তেজনার রেশ এখনো কাটেনি। বরং পরে আবার কখন দুই দলের লড়াই দেখা যাবে, শুরু হয়ে গেছে তার অপেক্ষা।
সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ফারুক ইঞ্জিনিয়ার যেমন বললেন, ‘যেকোনো জায়গাতে আমি ভারত-পাকিস্তানকে খেলতে দেখতে পছন্দ করব। ভারত-পাকিস্তান যদি মঙ্গল গ্রহে খেলতে যায়, আমি সেখানেও যাব। ভারত-পাকিস্তান সিরিজ যদি ইংল্যান্ড কিংবা আরব আমিরাতে হয়, তবে তা দারুণ ব্যাপার হবে। দুবাই, আবুধাবি এবং বিশেষ করে শারজায় একসময় দারুণ কিছু রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছে এ দুই দলের লড়াই। আমি আশা করি, তারা আবার খেলা শুরু করবে, সেটা দুবাই কিংবা ইংল্যান্ড, যেখানেই হোক না কেন।’
তবে নিজের চাওয়াই যে সব নয়, তা জানা আছে ফারোখেরও, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেউ নই। যারা দায়িত্বে আছে, এটা তাদের এবং সরকারের ওপর নির্ভর করছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
অন্যদিকে সাংবাদিক মেলিন্ডা ফারেলকে ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিঞ্চও কথা বলেছেন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তাপ নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক বলেছেন, ‘ফল যা–ই হোক না কেন, আমি মনে করি, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দারুণ ব্যাপার। আমি আসলে ঘরে বসে ম্যাচ দেখতে দেখতে স্নায়ুচাপে ভুগতে শুরু করেছিলাম। আমি জানি এ দ্বৈরথ কত বড়! এখন সে দিনের অপেক্ষায় আছি, যখন আমি অবসর নিতে পারব এবং কোথাও গিয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সরাসরি দেখব।’