বিশ্বকাপের মঞ্চে ইসলামের বার্তা দিতে যা করছে কাতার
খেলা

বিশ্বকাপের মঞ্চে ইসলামের বার্তা দিতে যা করছে কাতার

চার বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে মরুর বুকে পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মহাযজ্ঞের। ২০১০ সালে আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কম সমালোচনা শুনতে হয়নি কাতারকে। তবে আয়োজকরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো আগের সব বিশ্বকাপ থেকে আলাদা হবে মরুভূমির বুকের এবারের বিশ্বকাপ মহারণ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে বলেই জানিয়েছিলো কাতার। 

আয়োজকদের অঙ্গীকার করা সেই কথার সত্যতা যেন পাওয়া গেছে আল-বায়াত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী আয়োজন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে কাতার। 



কাল উদ্বোধনী ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো স্বাগতিক কাতার। কাতারের ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পোশাক পরেই গ্যালারিতে বসে সেই ম্যাচ উপভোগ করেছেন কাতারের শেখরা। স্টেডিয়ামে অন্য দেশের দর্শকদের জন্যই খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ। 


ছবি: সংগৃহীত

অন্যান্য আসরের আবশ্যিক অনুষঙ্গ অ্যালকোহলিক বিয়ার নিষিদ্ধ করা হয়েছে কাতারের বিশ্বকাপে। যদিও বিদেশীদের কথা ভেবে কিছু কিছু জায়গায় বিশেষভাবে বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে সেটি খুব সীমিত আকারে।  

এতোকিছুর পাশপাশি আরও বেশ কিছু ইসলামি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসই যেন দেখা গেছে কাতারের আয়োজকদের মাঝে। 

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপের মহারণের মাঝেও ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে যা যা করছে কাতার:

১. বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে নামাজের জায়গা এবং অজুর ব্যবস্থা।

২. আজান প্রচারের জন্য স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে মাইক্রোফোন। মসজিদে সাধারণ মুয়াজ্জিনের পরিবর্তে আনা হয়েছে সুন্দর কন্ঠধারীদের। 

৩. বিশ্বকাপের ভেন্যু, হোটেলসহ পুরো আয়োজনের সব জায়গাতেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী প্রচারের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য্য তুলে ধরা হয়েছে।

৪. আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য ২ হাজার সদস্যের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ১০টি বিশেষ গাড়ি এবং থাকার জন্য বিশেষ ১০টি অস্থায়ী তাবু।

৫. কাতারের সবগুলো হোটেলের কক্ষতে একটি করে বারকোড রয়েছে, যা সবাইকে ইসলামের শিক্ষা, হাদিস এবং মুসলিম বিশ্বাস ও সৌন্দর্য্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।

৬. আগত দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ইসলামিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বিশ্বকাপ চলাকালীন।

৭. ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের জন্য প্রতিটি সিটে একটি করে উপহারের ব্যাগ রাখা হয়েছে, যার ভেতরে থাকছে মুসলিমদের পবিত্রতা আর সৌন্দর্য্যের অন্যতম অনুষঙ্গ সুগন্ধি আঁতরসহ ইসলামিক উপহার সামগ্রী।


ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। মরুর বুকে সেই বিশ্বকাপেই যেন বিশ্বজুড়ে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে যাচ্ছে কাতারের কর্তৃপক্ষ। 

Source link

Related posts

How UCLA's Chase Griffin became 'the face of the athlete voice of NIL'

News Desk

জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে টাইগারদের মিশন

News Desk

আর্জেন্টিনা আমার ওপর নির্ভরশীল নয় : মেসি

News Desk

Leave a Comment