Image default
খেলা

বিজয়ের ফিফটি, নাহিদুলের ঘূর্ণিতে সাব্বির-নাঈমদের বড় পরাজয়

লিগের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের। রানের দেখা পাচ্ছিলেন না একদমই। তবে ক্রমেই হাসতে শুরু করেছে তার ব্যাট। শুক্রবার লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে খেললেন ৬৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যা তার দলকে এনে দিয়েছে ১০১ রানের বিশাল জয়।

মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে এনামুল বিজয়ের ৬৯ ও রনি তালুকাদের ৫৩ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক। জবাবে নাহিদুল ইসলাম, রুবেল হোসেনদের বোলিং তোপে মাত্র ৬৮ রানেই অলআউট হয়ে গেছে রূপগঞ্জ।

ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রূপগঞ্জ। বোলিংয়ের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল তাদের। প্রাইম ব্যাংকের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল ১২ রান করতে খেলেন ২০টি বল। ফলে প্রত্যাশামাফিক ঝড়ো শুরু পায়নি প্রাইম ব্যাংক। অবশ্য তামিম ধীর খেললেও আক্রমণাত্মক ছিলেন অপর ওপেনার রনি।

তিন নম্বরে নেমে অগ্রজ সতীর্থকে দারুণ সঙ্গ দেন অধিনায়ক এনামুল বিজয়। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৬৭ রান। দলীয় সংগ্রহ একশ পার করিয়ে সাজঘরে ফেরেন রনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস।

রনি ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন বিজয়। প্রায় দেড় বছর ও ২১ ইনিংস পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি তুলে নেন তিনি। দলকে ১৬৯ রানে পৌঁছে দেয়ার পথে বিজয় খেলেন ৩ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৪৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। রুপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুক্তার আলি।

১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একবারও মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে পারবে রূপগঞ্জ। অথচ প্রথম ওভারের প্রথম চার বলেই একটি করে চার-ছয়ের মারে ১২ রান তুলে নিয়েছিলেন ওপেনার আজমির আহমেদ। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান অফস্পিনার নাহিদুল ইসলাম।

প্রথম ওভারেই আজমিরের উইকেট হারানোর পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি রূপগঞ্জ। সাব্বির রহমান আউট হন ০ রানে, অধিনায়ক নাঈম ইসলাম করেন ৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন জাকের আলি অনিক। শেষ দিকে ১৩ রান করে দলকে পঞ্চাশের আগে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান মোহাম্মদ শহিদ।

নাহিদুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, নাঈম হাসানদের সম্মিলিত আক্রমণে মাত্র ৬৮ রানে অলআউট হয়েছে রুপগঞ্জ। চার ওভারে দুই মেইডেনসহ ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। রুবেল চার ওভারে এক মেইডেনসহ ১৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। নাঈম ৪ ওভারে ১৩ রান খরচায় নিয়েছেন দুই উইকেট।

Related posts

রেঞ্জার্সের মেয়াদ বাণিজ্যে শেষ হওয়ার পরে কাপো কাক্কো ক্র্যাকেনের সাথে একটি প্রসারিত ভূমিকায় বিকাশ লাভ করেছিল

News Desk

ডলফিনের স্বাক্ষর ফুটবল খেলোয়াড় ম্যাথু জুডনের ব্যারেল চারগুণ এক বছরের চুক্তিতে

News Desk

মেটসে নতুন ঘূর্ণন কীভাবে ম্যারাথন ফরোয়ার্ডের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল

News Desk

Leave a Comment