পরিবেশবান্ধব এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম
খেলা

পরিবেশবান্ধব এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম

কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ১৪ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। 

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।



তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।

কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।

‌এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল-রাইয়ান (৪০ হাজার) :

মধ্য দোহা থেকে প্রায় ৭ কি.মি. উত্তর-পশ্চিমে কাতারের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিপূর্ণ শহর আল-রাইয়ানে অবস্থিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। কাতার ফাউন্ডেশনের এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব বলে স্বীকৃত।


 ছবি: সংগৃহীত

৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৬টি, শেষ ১৬ ও কোয়ার্টার ফাইনালের একটি করে সর্বমোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের পর এরত ধারণক্ষমটা আবার অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।


 ছবি: সংগৃহীত

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটি প্রথম নির্মাণ করা হয়েছিল ২০০৩ সালে। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ২০১৬ সালে নতুন করে এর সংস্কার কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে করোনার সময়ে নতুনভাবে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর একটি ভার্চুয়াল ইভেন্টের মাধ্যমে করোনায় ফ্রন্টলাইন কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়।


 ছবি: সংগৃহীত

আরবের গতিশীল উচ্চশিক্ষার এই প্রাণকেন্দ্র আল-রাইয়ান শহরটি নতুন ধারণা এবং অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য বিখ্যাত। সেই শহরের এই স্টেডিয়াম এযেতে ব্যবহার করতে হবে মেট্রো।


ছবি: সংগৃহীত

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব স্টেডিয়াম বলার কারণ হচ্ছে, এখানে ২০ শতাংশ সবুজ কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছে। কাতারের ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক স্থাপত্যের সঙ্গেও মিশে গেছে স্টেডিয়ামটির অত্যাধুনিক নকশা। এর বাইরের দিকে প্রিজমের মতো জ্যামিতিক আকৃতির নকশায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চকচক করতে থাকে। আর রাতের বেলা স্টেডিয়ামটির সাম্নের অংশে  ডিজিটাল লাইটের সৌন্দর্য্য দর্শনার্থীদের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়।

Source link

Related posts

ডেডনিয়েল নুনেজ এগিয়ে আসার সাথে সাথে মেটসকে বুলপিন সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার

News Desk

“শোয়েব আখতার” এশিয়ান কাপে আম্মানে খেলবে

News Desk

প্রাক্তন এনএফএল প্রো বোলার টিজে ওয়ার্ড বিমানবন্দরকে একটি ‘স্ক্যাম’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন টিএসএ তার ‘মানুষের অংশ’ এর কারণে তাকে অনুসন্ধান করছে

News Desk

Leave a Comment