তিনি ব্যাট হাতে ছন্দে না ফিরলেও দল প্রথম ম্যাচ হারের পরেও টানা দু’টি ম্যাচ জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ৪৫ রানে বড় ব্যবধানে জয়ের পর আশ্বস্ত ধোনি। তবে চল্লিশে এসে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না ‘থালা’ ধোনি। তবে চেন্নাই দলনায়ক জানালেন, তাঁর ফিটনেস নিয়ে কাউকে আঙুল তোলার সুযোগ তিনি দেবেন না।
এদিন ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই’য়ের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যমাত্রার সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করে রাজস্থান রয়্যালস। জাদেজা-মইনের ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী রয়্যালস ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। আর ম্যাচ জিতে ধোনি বলেন এদিন তাঁর ইনিংসের মন্থর শুরু দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারত। চেন্নাই দলনায়কের কথায়, ‘আমরা আরও রান করতে পারতাম। আমি যে প্রথম ছ’টা বল খেলেছি সেটা অন্য ম্যাচ হলে বিপদ ডেকে আনতে পারত।’
ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে মাহি জানান, ‘তুমি যখন খেলছো তখন চাইবে কেউ যাতে তোমায় আনফিট বলতে না পারে। কিন্তু পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। আমার যখন ২৪ বছর বয়স ছিল তখন যেমন পারফরম্যান্সে নিশ্চয়তা ছিল না, ৪০ বছরে এসেও সেই নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলতে পারি কেউ আমার ফিটনেসের দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। আর সেটাই ইতিবাচক দিক আমার কাছে। তরুণ ছেলেগুলো প্রচুর দৌড়য়। ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে ভালোলাগে।
এদিন ১৭ বলে ১৮ রান করে প্রতিশ্রুতিমান সাকারিয়ার একটা স্লোয়ারে হার মানেন চেন্নাই অধিনায়ক। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক হিসেবে যে ধোনি যে আগের মতোই ক্ষুরধার সেটা চেন্নাই’য়ের এদিনের জয়েই পরিষ্কার। মোক্ষম সময়ে ধোনির গুরুত্বপূর্ন বোলিং পরিবর্তন বিপাকে ফেলে দেয় রয়্যালসদের। দলনায়কের আস্থাকে মর্যাদা দেন দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা এবং মইন আলি। দুই স্পিনারের বিষাক্ত স্পিনে ৮৬/২ থেকে ৯৫/৭ হয়ে যায় রয়্যালস।
একই ওভারে দুবে এবং বাটলারকে ফেরান ‘জাড্ডু’। অন্যদিকে পাঁচ বলে ৩ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন ইংরেজ স্পিনার মইন আলি। সেই বিপর্যয় রয়্যালস টেল-এন্ডারদের পক্ষে সামাল দিয়ে ম্যাচ জেতানো সম্ভব ছিল না। শেষ অবধি ২০ ওভারে ৯ উইকেটে সর্বসাকুল্যে ১৪৩ রান তুলতে সমর্থ হয় রয়্যালস ব্রিগেড।