Image default
খেলা

এখনই আনন্দে ভেসে যাচ্ছি না : অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ

ইতিহাস! প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওয়ানডে ও টেস্টে আগেই মিলেছিল অসিদের হারানোর স্বাদ। এবার ক্রিকেট পরাশক্তি দেশটিকে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটেও বাঘের গর্জন শোনাল বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাত্র ১৩১ রানের পুঁজি নিয়েও ২৩ রানের সহজ জয় পেয়েছে টাইগাররা। নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণির সঙ্গে সাকিব আল হাসান, শেখ মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামদের মাপা বোলিংয়ে মিলেছে এই ঐতিহাসিক জয়।

তবে এই দুর্দান্ত জয়ের পরেও আনন্দে ভেসে যেতে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি বরং এই ম্যাচের করা ভুলগুলো শুধরে নেয়ার দিকেই মনোযোগ রাখতে চান। যাতে পরের ম্যাচে শুরু থেকেই পাওয়া যায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমি এখনই আনন্দে ভেসে যাচ্ছি না। এটা একটা ম্যাচ ছিল যা আমরা জিতেছি। এখন এটা শেষ। আমরা আগামীকালের ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। চেষ্টা করব নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এবং প্রথম বল থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে।

টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘তারা (অস্ট্রেলিয়া) খুবই শক্তিশালী দল। আমার মনে হয়, আজকে যে ভুলগুলো আমরা করেছি সেগুলো পরের ম্যাচে শুধরে নিতে হবে এবং কালকের ম্যাচে ভুলের পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। অতি অবশ্যই সবসময় জয়ের ক্ষুধাটা থাকতে হবে।

ম্যাচ শেষে ফলাফলের খাতায় বাংলাদেশের জয় ২৩ রানে। কিন্তু ইনিংস বিরতির সময় স্কোরবোর্ডে যখন ছিল মাত্র ১৩১ রান, তখন কজনই ভেবেছিলেন জিততে পারে বাংলাদেশ? অন্তত এর আগে এত কম রান করে টি-টোয়েন্টি জেতার রেকর্ড ছিল না টাইগারদের। আজ অসিদের হারিয়ে নতুন করে লেখা হয়েছে এই রেকর্ড।

এতদিন ধরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান করে জয়ের রেকর্ড ছিল আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও ৫১ রানের ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

আজ অস্ট্রেলিয়ার মতো নামী ও বড় দলের বিপক্ষে সেই রেকর্ডও ছাপিয়ে গেল টাইগাররা। নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে চড়ে ১৩১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে, অসিদেরকে ২৩ রানে হারাল বাংলাদেশ। যা এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করে জয়ের রেকর্ড।

কাকতালীয় বিষয় হলো, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে আমিরাতের বিপক্ষে ১৩৩ রান করেও জয় পাওয়া ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেদিন ব্যাট হাতে ২৭ বলে ৩৬* ও বল হাতে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর আজ সেই রেকর্ড ভাঙার দিনে তিনিই দলের অধিনায়ক।

তবে ইনিংস বিরতির সময় বাংলাদেশ দলের মনে হচ্ছিল, হয়তো ১০ রান কম হয়ে গেছে। তাই বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বাড়তি এফোর্ট দেয়ার তাগাদা ছিল দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই। এছাড়া বোলাররাও নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। তাই স্বস্তির হাসি মাহমুদউল্লাহর মুখে।

এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ইনিংসের বিরতিতে আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল, আমরা হয়তো ১০ রান কম করে ফেলেছি। তাই আমাদের ভালো জায়গায় বোলিং করতে হবে, সুযোগ নিতে হবে, ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে হবে। মাঠে সেই এনার্জি আমরা দেখাতে পেরেছি। জয়ের সেই ক্ষুধাটা ছিল।’

মাহমুদউল্লাহ আরও বলেছেন, ‘আমার মতে, বোলাররা তাদের পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এটাই মূল বিষয় অল্প রানের ম্যাচে। কারণ আপনাকে সবসময় আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকতে হবে এবং মাঠে গিয়ে ভালো বোলিং করে শুরুতেই উইকেট নিতে হবে। যেটা আমরা করতে পেরেছি।

Related posts

ইয়াঙ্কিসের মার্কাস স্ট্রোম্যান “অসম শুরু হওয়ার পরে আরও ভাল হওয়া উচিত

News Desk

এসএনওয়াই বুথ জুয়ান সট দাবি করে

News Desk

জেজে রেডিকের এখন একটি বড় উন্নয়নে লেকারদের প্রধান কোচ হওয়ার সঠিক পথ রয়েছে

News Desk

Leave a Comment