Image default
খেলা

একশ ছুঁয়ে চা পান করতে গেলেন তামিম-মুমিনুল

তিন ওভারের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়ে রোমাঞ্চকর কিছুর আভাস দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা পানি ঢেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হককে। তাদের নিখাঁদ ব্যাটিংয়ে চা পানের আগে আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা খেলে ৩৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম ৭৪ এবং মুমিনুল ২৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটির সংগ্রহ ৭৩ রান। লঙ্কানদের চেয়ে আর ৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের করা করা ৫৪১ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে নিজেদের ইনিংস ছেড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৭ রানের লিডের নিচে পড়েছে বাংলাদেশ। দিনের ৬৮ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে আবার ব্যাটিংয়ে ডেকেছে লঙ্কানরা।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সুরঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে কট বিহাইন্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ১ রান করা সাইফ হাসান। লাকমলের করা পরের ওভারে ইনসাইড এজে বোল্ড হন আগের ইনিংসে ১৬৩ রান করা শান্ত। এবার তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে।

যার ফলে বাংলাদেশের পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ডাকের নজির স্থাপন করলেন শান্ত। সবশেষ এমনটা করেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার কথা মনে করিয়েই প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে ফেরেন শান্ত।

তবে এ দুই উইকেট একদমই থামাতে পারেনি তামিমের উইলোকে। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে প্রথম চার মারেন তামিম। তৃতীয় ওভারে মারেন দ্বিতীয়টি। চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মতো ধনঞ্জয় ডি সিলভার হাত ধরে স্পিনার এনেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান তামিম। একই ওভারে মারেন বাউন্ডারিও।

ধনঞ্জয়ের পরের ওভারের প্রথম বলে আবার ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের কর্তৃত্বের জানান দেন তামিম। অপরপ্রান্তে সাইফ ১ ও শান্ত ০ রানে ফিরে গেলেও, চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মুমিনুল হককে নির্ভার রাখার কাজটি সুনিপুণভাবেই করেন তামিম। যার সুবাদে ১৭ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ করে ফেলে বাংলাদেশ।

বিশ্ব ফার্নান্দোর করা ১৭তম ওভারের শুরুতে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪০ রান, যেখানে তামিমের একার অবদান ছিল ৩৮। সেই ওভারে তিন চার মেরে দল ও নিজের ফিফটি পূরণ করেন তামিম। মাত্র ৫৬ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ের মারে ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটিটি করলেন তিনি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০১ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও হাঁকালেন ফিফটি। সবমিলিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে আটবার জোড়া ফিফটি অর্থাৎ দুই ইনিংসেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন তামিম। নিজের অভিষেক ম্যাচের দুই ইনিংসেই ৫৩ ও ৮৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

Related posts

ট্রয় অফ টাইমস: ইউএসসি ফুটবলের জন্য পতনের সময় অনুসন্ধান করার জন্য সাতটি জিনিস

News Desk

এনবিএ ডিআই লেসলি স্ল্যাটনের পুরষ্কার: রিপোর্ট

News Desk

ট্র্যাভিস কেলস এবং টেলর সুইফ্ট এনএফএল রোম্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান ফুটবল পরিবারগুলির একটি বছর হাইলাইট করেছেন

News Desk

Leave a Comment