এক নজরে পেলের রাজকীয় ক্যারিয়ার
খেলা

এক নজরে পেলের রাজকীয় ক্যারিয়ার

দীর্ঘদিন মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই শেষে ৮২ বছর বয়সে মারা গেলেন ফুটবলের রাজা ‘কালোমানিক’ পেলে।  বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত একটায় সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফুটবলের অবিসংবাদিত সম্রাট পেলের নামের পাশে রয়েছে অসংখ্য রেকর্ড।




বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন তিনটি বিশ্বকাপ। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্রাজিল দলে অভিষেক হয় পেলের। এরপর ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ। এরমধ্যে ১৯৫৮, ১৯৬২ এবং ১৯৭০ তিনটি বিশ্বকাপ জেতেন পেলে।  



চারটি বিশ্বকাপে ১৪ ম্যাচ খেলে ১২ গোল করেন পেলে। কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসি রেকর্ড গড়ার আগে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল+ অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড ছিল পেলের। সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ গোল ও বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে পেলের। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বিশ্বকাপে গোল ও বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। তার এই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙ্গতে পারেননি।



১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে হ্যাটট্রিক এবং ফাইনালে করেছিলেন জোড়া গোল। এরপর ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে এক ম্যাচ খেলে ইনজুরির কারণে আর খেলা হয়নি পেলের। তবে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জেতায় সেটি পেলের জয় হিসেবেও বিবেচিত হয়।



এরপর ১৯৭০ সালের নিজের শেষ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন পেলে। ফাইনালে গোল করে ইতালিকে হারিয়ে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় করেন পেলে। সেইসঙ্গে জুলেরিমে ট্রফি চিরতরে নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল।



নিজের ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সাস্তোসে। ক্লাবের হয়ে প্রায় ১৮ বছর খেলেছেন তিনি। সাস্তোসের হয়ে ৬৩৬ ম্যাচে  ৬১৮ গোল করেন পেলে। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে নিউ ইয়র্ক কসমসের হয়ে দুই বছর খেলেন ফুটবল সম্রাট। 



ক্যারিয়ারে হাজারের বেশি গোল করা পেলের ফিফা স্বীকৃত অফিশিয়াল গোলের সংখ্যা ৭৫৭টি। পেলের হিসেবে ক্যারিয়ারে তার করা গোলের সংখ্যা ১২৮৩টি। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল নিয়ে এখনও তিনিই দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।



আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ১৯৯৯ সালে পেলেকে ‘অ্যাথলিট অব দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আর ২০০০ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (আইএফএফএইচএস) পেলেকে বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি দেয়। এছাড়াও তিনি ফিফার ‘প্লেয়ার অফ দ্য সেঞ্চুরি’ খেতাব অর্জন করেন। পেলেকে ব্রাজিলের জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। 

Source link

Related posts

The Sports Report: Why Walker Buehler’s time with the Dodgers is over

News Desk

অ্যালোনসোর বাড়ি ড্যারিল স্ট্র্যাব্রি পেরিতে বাড়ির চলমান রেকর্ডটি বন্ধ করে দেয় অন্য শিলাবৃষ্টি

News Desk

ইউকন অবশেষে তার বিমানের দুঃস্বপ্নের পরে চূড়ান্ত চারের জন্য অ্যারিজোনায় পৌঁছেছে

News Desk

Leave a Comment