Image default
খেলা

আবাহনীকে তিনে নামিয়ে দিল দোলেশ্বর

১৩৩ রানের ছোট্ট টার্গেট তাড়া করে পারবে না আবাহনী, কে ভেবেছিলেন এমন! কিন্তু বাস্তবে সেটাই হয়েছে। ফরহাদ রেজার প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ওই সামান্য ক’টা রানও করতে পারেনি কাগজে কলমের এক নম্বর দল আবাহনী।

ফর্মে থাকা মুনিম শাহরিয়ার, ড্যাশিং নাইম শেখ, সাজানো গোছানো ব্যাটিং শৈলির নাজমুল হোসেন শান্ত, নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহীম, আবাহনীর অনেক ম্যাচ জয়ের নায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, গায়ে ফিনিশারের তকমা লাগিয়ে ফেলা আফিফ হোসেন ধ্রুব আর অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে সাজানো তারকাসর্বস্ব আবাহনী হেরেছে ২৮ রানে।

নবম রাউন্ড শেষে প্রাইম ব্যাংকের পরে দ্বিতীয় স্থানে ছিল আবাহনী। দশম রাউন্ড শেষে মুশফিকের দলকে তিনে নামিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রাইম দোলেশ্বর। সমান ১০ ম্যাচে তৃতীয়বারের মত পরাজয়ের তেঁতো স্বাদ পাওয়া চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর পয়েন্ট ১৪‘ই থাকলো। আর সমান ম্যাচে ৭ জয় ও প্রথম দিন ব্রাদার্সের সাথে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া দোলেশ্বরের এখনকার সংগ্রহ দাঁড়ালো ১৫।

প্রথমে সেশনে সাইফ হাসান, মার্শাল আইয়ুবদের মন্থর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো প্রাইম দোলেশ্বরের জয়ের তাড়া নেই। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে আবাহনীর ব্যাটিং দেখার পর মনে হলো সাইফ, ইমরান, মার্শাল, ফরহাদরা বরং ভালো খেলেছেন। আবাহনীর উইলোবাজরা যেন পাল্লা দিয়ে খারাপ করলেন। শুধু শ্রীহীন ব্যাটিংই নয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব ছাড়া বাকিদের দেখে মনেই হয়নি চ্যাম্পিয়নরা টি-টোয়েন্টি খেলছে। মাত্র ১০৪ রানে গুঁড়িয়ে গেছে আবাহনীর ইনিংস।

আফিফ ১৫ বলে ২৬ আর মোসাদ্দেক ১৪ বলে ১৪ রান করেন। নাইম শেখ রান পেলেও তার ৩১ বলে ২২ রানের ইনিংসটি মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। বাকিরা কেউ দশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। শান্ত ৮, মুশফিক ৪, সাইফউদ্দিন ৩ রান করেই সাজঘরে পথ ধরেন। জাতীয় দলের এক সময়ের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ১১ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটিয়ে আবাহনীকে এমন পরাজয়ের পথে ঠেলে দিয়েছেন।

Related posts

এএসইউ লাইনম্যান টেক্সাসকে CFP-এ স্কুলের প্রতিশোধ নেওয়ার আশা করছে যে বলেছিল যে সে কখনই যথেষ্ট ভাল হবে না’

News Desk

ইউএফসি ফাইট নাইট: প্রিলিম ফুল, ডলিডজির বিপরীতে ভেটোরির মূল কার্ডগুলি

News Desk

ব্লকবাস্টার ট্রেড এনএইচএল বিপর্যয় থেকে এনএইচএলে ফোকাস করে

News Desk

Leave a Comment