Image default
খেলা

অলিম্পিকের দ্রুততম মানব ইতালির মার্সেল জ্যাকবস

এক যুগ ধরে অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের রাজা ছিলেন উসাইন বোল্ট। মুগ্ধতা ভরে তার দৌড় দেখেছে বিশ্ববাসী। এবারের টোকিও অলিম্পিকে নেই তিনি। রিওতেই জানিয়েছিলেন অলিম্পিকে আর দেখা যাবে না তার দৌড়।

সবার অপেক্ষা ছিল কে দখল করবেন তার ছেড়ে যাওয়া আসন। হবেন অলিম্পিকের দ্রুততম মানব। অবশেষে মিলল তার উত্তর। অলিম্পিকের দ্রুততম মানব হয়েছেন ইতালিয়ান অ্যাথলেট লেমন্ত মার্সেল জ্যাকবস। ৯.৮০ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়েছেন তিনি।

ফেভারিটের তালিকায় কখনোই ছিলেন না জ্যাকবস। সেমিফাইনালে নিজের হিটে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের রেকর্ড ভেঙেছিলেন। তবুও তাকে ফেভারিটের তালিকায় না রাখার বড় কারণ অলিম্পিকে ১০০ মিটারে ইতালির সাফল্য খরা। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে সর্বশেষ ব্রোঞ্জ জিতেছিল তারা।

৯.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে এই ইভেন্টের রুপা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেড কারলি। ৯.৮৯ সেকেন্ড দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন কানাডার আন্দ্রে দি গ্রাস। নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে তারা সবাই দৌড়েছেন আজকেই।

অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর জ্যাকবস বলেছেন, ‘অলিম্পিকে পদক জেতা এটা আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল। অবশ্যই স্বপ্ন ভিন্ন কিছুতে বদলে যেতে পারে। কিন্তু ফাইনালে দৌড়ানো এবং জেতা; এটা স্বপ্নটাকে সত্যি করেছে। আমি আমার পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে সবসময় সমর্থন দিয়েছে। আমার বাচ্চারা, মা; যিনি আমার এক নম্বর ভক্ত সেই ছোটবেলা থেকে। এবং আমার দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমাকে অনুসরণ করেছে, সমর্থকদেরও।’

গত অলিম্পিকে বোল্ট ৯.৮১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছিলেন। এবার অবশ্য তার চেয়ে ০.১ সেকেন্ড কম সময় নিয়েছেন তিনি। অবশ্য বোল্টের বিশ্বরেকর্ডের কাছেও যেতে পারেননি জ্যাকবস।

২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ৯.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে অলিম্পিকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। বিশ্বরেকর্ডটি তার আরও আগের। ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশশিপে ৯.৫৮ সেকেন্ড সময়ে ১০০ মিটার দৌড়েছিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে এই ইভেন্টের ফাইনালে অবশ্য ছিলেন না বোল্টের দেশ জ্যামাইকার কেউ।

Related posts

লস অ্যাঞ্জেলেসের তিন শিক্ষার্থী কীভাবে জীবন পরিবর্তনের জন্য বৃত্তির চিকিত্সা হিসাবে কাজে পরিণত হয়েছিল

News Desk

ফুটবল খেলোয়াড়রা মানসিক ধাক্কায় ভুগছেন

News Desk

MetLife স্টেডিয়াম দখল করে 49ers অনুরাগীদের দ্বারা ‘বিব্রত’

News Desk

Leave a Comment