সৌদি আরব কয়েক বছর ধরে ফুটবলে বিনিয়োগ করে আসছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিও নিজেদের ঘরোয়া লিগ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সৌদি প্রফেশনাল লিগে বর্তমানে অনেক আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা ও তারকা খেলছেন।
দেশটির নিজস্ব ছাড়াও ইউরোপের অনেক ফুটবল ক্লাব রয়েছে। এবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নজর স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার দিকে। তিনি ক্লাবটি কিনতে চান।
<\/span>“}”>
স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বার্সেলোনা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে মালিককে কেনার কথা ভাবছে। টাকার পরিমান দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে। অঙ্কটা ১০ বিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
বার্সেলোনা বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্লাবের ঋণের পরিমাণ প্রায় 2.5 বিলিয়ন ইউরো। সৌদি যুবরাজের এই ‘মেগা চুক্তি’ প্রকাশ্যে এলে মুহূর্তের মধ্যে সব ঋণ পরিশোধ করে অর্থনৈতিকভাবে আবারো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বার্সেলোনা। তবে এই প্রস্তাব গৃহীত হলে ক্লাবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের হাতে।
একটি জনপ্রিয় স্প্যানিশ টিভি অনুষ্ঠান “এল চিরিংগুইটো” এর ফ্রাঙ্কোইস গ্যালার্দো জানিয়েছে যে সৌদি যুবরাজ বার্সেলোনায় একটি অংশীদারিত্ব কেনার কথা বিবেচনা করছেন। এটি সরাসরি বিনিয়োগ বা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের মাধ্যমে ক্রীড়া খাতে পুঁজির জন্য সৌদি আরবের কৌশলের সাথে অনেকটাই সঙ্গতিপূর্ণ।
09C1 09OC\u09ae\09b9 09 09 09 09 09 09A8 ı9 09 09 09 09 09 09 09 09 09 09<\/span><\/span>“}”>

কিন্তু এটা মোটেও সহজ নয়। বার্সেলোনা বা রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবগুলি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা নয়। তারা “সামাজিক” বা সদস্য মালিকানার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্লাবের প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং ভোটাধিকার তাদের উপর ন্যস্ত। তাই বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী বিদেশি কোম্পানির হাতে ক্লাবের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব।
ফুটবল ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের পক্ষে ক্লাবের সম্পূর্ণ মালিকানা লাভ করা সম্ভব না হলেও বার্সেলোনার বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড টাকা বিনিয়োগ করতে পারলেও ক্লাবের মূল পরিচালনা পর্ষদ বা ফুটবল মাঠের নিয়ন্ত্রণে তার হাত থাকবে না।

