Image default
খেলা

১৩ বছর পর নকআউটে নেদারল্যান্ডস

সর্বশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নকআউটপর্বে উঠেছিল ২০০৮ সালে। দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবারও নকআউটে নাম লেখাল নেদারল্যান্ডস, গ্রুপপর্বে টানা দুই জয়ে। ঘরের মাঠ আমস্টারডামে বৃহস্পতিবার রাতে অস্ট্রিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে কমলা জার্সিধারীরা। ‘সি’ গ্রুপের যে ম্যাচটিতে ভুরিভুরি সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বড় জয় পেতে পারতো তারা।

পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলেছে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের দশ মিনিট পার না হতেই ভুল করে বসে অস্ট্রিয়া। ডাচ ডিফেন্ডার স্টেফান ডি ভ্রিজ বল নিয়ে বক্সের মধ্যে আলতো ছোঁয়াতেই পড়ে যান। রেফারি তাতে ভুল কিছু দেখেননি। কিন্তু একই সময়ে বিপজ্জনক জায়গায় ডেঞ্জেল ডামফ্রেস চলে আসলে তাকে পা দিয়ে ফেলে দেন অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। ফলে ভারের শরণাপন্ন হন রেফারি। রিপ্লে দেখে দেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত। ১১ মিনিটের মাথায় সেই পেনাল্টি শটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেমফিস দিপাই।

প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়াতে পারতো নেদারল্যান্ডস। পেনাল্টিতে গোল করা দিপাই ২৪ আর ৪০ মিনিটে দুটো একদম সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। একবার বক্সের সাইডে শট মেরে, আরেকবার গোলরক্ষকের খুব কাছে বল পেয়েও ওপরে মেরে দেন এই ডাচ স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না। অবশেষে সেই হতাশা কাটে ৬৭ মিনিটে। দিপাইয়ের ফ্লিক মাঝমাঠ থেকে ফাঁকা পেয়ে দৌড়ে যান ড্যামিয়েন মালেন। গোলরক্ষকের সামনে গিয়েও নিজে শট নেননি, স্বার্থ ভুলে ডানদিকে ডামফ্রেসকে পাস দেন।

ডাচ ডিফেন্ডার শট নিলে অস্ট্রিয়ান গোলরক্ষক ড্যানিয়ের বাচম্যান হাতে লাগাতে পারলেও আটকাতে পারেননি গোল। বরং অফসাইডের দাবি তুলে হলুদ কার্ড দেখেন। শেষদিকে অল্প সময়ের মধ্যে দুটি সুযোগ তৈরি করে অস্ট্রিয়া। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে নিতে পারা দলটি। ফলে ২-০ গোলের সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস।

Related posts

ড্রাইমন্ড গ্রিন উল্লেখ করেছেন যে এনবিএ জরিমানা খেলোয়াড়দের অবসরের সম্পদ সংগ্রহের ক্ষমতাকে আঘাত করে: ‘তারা আমাদের জন্য সেট আপ করা হয়নি’

News Desk

স্টিফন ডিগস: বিলস জিএম ব্র্যান্ডন বেইন ট্রেড করার জন্য কেন এটি সঠিক সময় ছিল

News Desk

ডিএন্ড্রে হপকিন্স “নেতারা” সুপার বোল লিক্সে পৌঁছেছেন প্রয়াত বাবার কোট পরা

News Desk

Leave a Comment