Image default
খেলা

সিঙ্গেল না নেওয়া বিতর্ক, স্যামসনের পাশে সাঙ্গাকারা

বীরত্ব দেখাতে গিয়ে দলের বিপদ ডেকে আনা, নাকি স্রেফ দুর্ভাগ্যের কাছে হেরে যাওয়া? সাঞ্জু স্যামসনের অসাধারণ এক ইনিংসের পরও আলোচনার ঝড় চলছে শেষ বলের আগে সিঙ্গেল না নেওয়ায়। সেই বিতর্কে রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক স্যামসন মাথার ওপর পেলেন দলের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ কুমার সাঙ্গাকারার ছায়া।

আইপিএলে সোমবার রাজস্থান রয়্যাল ও পাঞ্জাব কিংসের লড়াই রোমাঞ্চের নানা আঙিনা পেরিয়ে পৌঁছায় শেষ ওভারের উত্তেজনায়। দুর্দান্ত খেলে ততক্ষণে সেঞ্চুরি পেরিয়ে গেছেন স্যামসন। মুম্বাইয়ে ২২২ রান তাড়ায় শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থানের প্রয়োজন পড়ে ১৩ রানের। স্ট্রাইকে স্যামসনই।

পাঞ্জাবের বাঁহাতি পেসার আর্শদিপ সিংয়ের প্রথম বলে রান নিতে পারেননি স্যামসন। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের বাইরে হাফভলি মতো ডেলিভারিকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কায় ওড়ান স্যামসন।

এরপরই আলোচনার জন্ম দেওয়া সেই ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি সজোরে শট খেলে ওয়াইড লং অফে পাঠান স্যামসন। নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ছুটে প্রায় অন্য প্রান্তে পৌঁছে যান ক্রিস মরিস। স্যামসনও শুরুতে রান নিতে উদ্যত হন। পরে তিনি ফেরত পাঠান মরিসকে। সিঙ্গেল না নিয়ে শেষ বলে স্ট্রাইক রাখেন নিজের কাছেই।

দুই বলে পাঁচ রানের সমীকরণ তাতে হয়ে যায় এক বলে পাঁচ রান। শেষ বলটি জায়গামতো পেয়ে আবার এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন স্যামসন। কিন্তু এবার অনেক উঁচুতে বল উঠলেও অল্পের জন্য সীমানা পার হয়নি। ক্যাচ নেন দিপক হুডা।

রাজস্থান হেরে যায় চার রানে। ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৩ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেও স্যামসন হয়ে যান ট্র্যাজেডির নায়ক। পঞ্চম বলে ওই সিঙ্গেলটি নিলে শেষ বলে প্রয়োজন হতো চার রানের। ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে যাকে দলে নিয়েছে রাজস্থান, সেই মরিসের সামর্থ্য আছে বড় শট খেলার। শেষ বলে অনেক সময় ব্যাটের কানায় লেগেও চার হয়ে যায়। সমীকরণ কঠিন না করে মরিসের ওপর স্যামসন আস্থা রাখতে পারতেন কিনা, সেই প্রশ্ন তাই উঠছে।

তবে তখনও পর্যন্ত ৪ বল খেলে মরিসের রান ছিল ২। শেষ ওভারেই ফুল টস পেয়ে নিতে পেরেছিলেন কেবল ১ রান। তাকে স্ট্রাইক দেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে ছন্দে থাকা স্যামসন ঠিক করেছেন, এই যুক্তিও আছে।

ম্যাচ শেষে সাঙ্গাকারা অকুণ্ঠ সমর্থন জানালেন স্যামসনের সিদ্ধান্তকে। বললেন, তার কাছে মানসিকতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

“ আমার মনে হয়, কাজটা শেষ করায় সাঞ্জু নিজের ওপর ভরসা নেখেছে এবং প্রায় করেই ফেলেছিল। শেষ বলে ছক্কা থেকে মাত্র পাঁচ-ছয় গজ দূরে ছিল সে। কখনও কখনও যখন কেউ জানে যে সে খুব ভালো খেলছে, ফর্মে আছে এবং বিশ্বাস জন্মায় যে সে নিজেই করতে পারে, দায়িত্বটা তখন তারই নেওয়া উচিত। সাঞ্জুকে এটা করতে দেখা তাই উৎসাহব্যঞ্জক।”

“ এখানে-সেখানে একটি সিঙ্গেল হাতছাড়া করা নিয়ে সবসময়ই কথা বলতে পারি আমরা। কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিকতা, নিবেদন ও নিজের শক্তির জায়গায় ক্রিকেটারদের বিশ্বাস। খেলাটা শেষ করায় সাঞ্জু নিজের ওপর দায়িত্ব নিয়েছে এবং স্রেফ একটুর জন্য পারেনি। এটা হতেই পারে। পরেরবার আমি নিশ্চিত, সে আরও ১০ গজ দূরে বল পাঠিয়ে আমাদের জেতাবে।”

Related posts

ক্যাটলিন ক্লার্ক বলেছেন যে তিনি প্রথম সপ্তম গ্রেডে কলেজে নিয়োগের চিঠি পেতে শুরু করেছিলেন

News Desk

সীমিত ওভারের ম্যাচে দুরন্ত মোস্তাফিজ, বিধ্বংসী তামিম

News Desk

ড্রু ব্রীস: আমার হাত উপরে থাকলে আমি এনএফএলে আরও তিন বছর খেলতে পারতাম

News Desk

Leave a Comment