শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
খেলা

শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে বাংলাদেশের বিদায়

এশিয়া কাপে ডু অর ডাই ম্যাচে বাংলাদেশকে ২ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা। 

এ দিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাইগারদের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট না হারিয়ে রানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন দুই লঙ্কান ওপেনার পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিস। ইনিংসে ৬ষ্ঠ ও ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করে বাংলাদেশ কে ব্রেক থ্রু এনে দেন টি-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন। নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান পাতুম নিসাঙ্কাকে। শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নিসাঙ্কা। ১৯ বলে ২০ রান করে ফেরেন নিসাঙ্কা। এরপর একই ওভারের শেষ বলে ইবাদতের শিকার হন চারিত আসালাঙ্কাও। সাজ ঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ১ রান করেন আসালাঙ্কা।

তবে ৩ বার জীবন পেয়ে ক্রিজের এক দিক আঁকড়ে ধরে রাখেন কুশাল মেন্ডিস। নিয়মিত স্কোর বোর্ডে রান সংখ্যা বাড়াতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে ইবাদতের ৩য় শিকার হন দানুস্কা। ৬ বলে ১১ রান করে ইবাদতের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার দলীয় ৭৭ রানের সময় পতন হয় ৪র্থ উইকেটের। এ সময় তাসকিনের শিকার হন ভানুকা রাজাপাকসে। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি।



এরপর অধিনায়ক শানাকাকে নিয়ে রান তাড়া করতে থাকেন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। তবে ৩৭ বলে ৬০ রান করে মুস্তাফিজের শিকার হন এ ব্যাটার। এর কিছু সময় পরেই হাসারাঙ্গাকে সাজ ঘরে ফেরান তাসকিন। ইনিংসের ১৮তম ওভারে অধিনায়ক শানাকাকে সাজ ঘরে ফেরান মেহেদি হাসান। সাজ ঘরে ফেরার আগে ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক। এরপর লঙ্কান ব্যাটার কারুনারত্নকে রানআউট করেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে ১০ বলে ১৬ রান করেন তিনি। তবে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার থাকলেও ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই জয় পায় লঙ্কানরা।


উইকেট নেওয়ার পর বাংলাদেশ দলের উচ্ছ্বাস

বাংলাদেশের হয়ে ইবাদত ৩টি, তাসকিন ২ টি, মুস্তাফিজ ও মেহেদি ১টি করে উইকেট নেন। 

এর আগে টসে জিতে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে মিরাজ ও সাব্বিরকে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতেই সাব্বিরের উইকেট হারায় টাইগাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আসিতা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটরক্ষকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন মিরাজ। ২৬ বলে ৩৮ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই মুশফিকের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাকিব এরপর আফিফকে ইনিংস লম্বা করার হাল ধরেন। দলীয় ৮৭ রানে ব্যক্তিগত ২২ বলে ২৪ রান করে মহীশ তিকসানার বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আফিফকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি বাড়ান। ১৬ ওভার ৪ বলে  দলীয় ১৪৪ রানে আউট হন আফিফ। ব্যক্তিগত ২২ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর দ্রুতই মাহমুদুল্লাহ ও শেখ মেহেদির উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর মোসাদ্দেক, সৈকত ও তাসকিনকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। মোসাদ্দেকের ৯ বলের ঝড়ো ২৪ রানের সুবাদে ১৮০ পেরোয় বাংলাদেশ। তাসকিন ৬ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।


উইকেট নেওয়ার পর ইবাদত হোসেন।

শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা ও কুলারত্নে দুইটি করে উইকেট নেন। এছাড়া দিলশান, মাহিশ ও ফারনান্ডো একটি করে উইকেট নেন।

Source link

Related posts

ব্রাজিল নিয়ে কখনো কথা বলবেন না: আনচেলত্তি

News Desk

শেডেউর স্যান্ডার্স এবং ট্র্যাভিস হান্টার তাদের বলগেম কভার করার জন্য CFB ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অক্ষমতা বীমা আছে

News Desk

৯০ বছর পর যে লজ্জার রেকর্ডের সঙ্গী হলো দ. আফ্রিকা

News Desk

Leave a Comment