প্রায় দুই মাস আগে কক্সবাজার স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অনিচ্ছাকৃত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন বিসিবির পরিচালক ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। ওই ঘটনার পর ক্ষমা চাইতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর দেয়া নোটিশের জবাবে তার পক্ষে আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী এমনটি জানান। ওই ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত ও অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে নোটিশের জবাবে বলা হয়, খালেদ মাহমুদ সুজন বিদেশ থেকে ফিরে রকিবুল হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ছোট ভাই হিসেবে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইবেন।
তিনি বলেন, ‘আমার পাঠানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। জবাবে তিনি তার অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য রকিবুল হাসানের বাসায় গিয়ে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু যতটুকু জানি খালেদ মাহমুদ সুজন যখন জবাব দিয়েছেন তখন তিনি ভারতে ছিলেন।
‘এরপর কিন্তু তিনি দেশে ফিরেছেন। কিন্তু রকিবুল হাসানের সঙ্গে দেখা করেননি। কিছু দিন থেকে এখন তিনি শ্রীলংকা সফরে আছেন। তাহলে তিনি যে বললেন, বিদেশ থেকে ফিরে দেখা করবেন। সেটা কবে?’
গত ৭ মার্চ ব্যক্তিগতভাবে সংক্ষুব্ধ হয়ে নোটিশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু তালেব।
ওই নোটিশে সুজনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল, ‘গত ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা চলাকালে আচমকা আপনি খালেদ মাহমুদ সুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন।
‘এ সময় আপনি এতই উত্তেজিত ছিলেন যে আপনাকে থামানোর জন্য অনেকে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে আপনি মাঠের পাশে থাকা স্পনসর প্রতিষ্ঠানের ছাউনি পর্যন্ত উপড়ে ফেলেছেন। আর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন।’
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত করার ফলে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে আঘাত করার শামিল। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হওয়ার ফলে বিষয়ে নজরে এসেছে। তাই সাংঘাতিকভাবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করেন এ আইনজীবী।
এতে ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। অন্যথায় মোকাদ্দমার করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।