কলকাতা নাইট রাইডার্স সাকিব আল হাসানকে দলে নেওয়ার পরে নিশ্চিতভাবেই শতশত বার ক্রিকেট প্রেমীদের তর্কের টেবিলে উঠেছে দলটির একাদশে সাকিব নাকি সুনীল নারাইন থাকবেন। তবে দলীয় অধিনায়ক ইয়ন মরগানের চোখে দুইজন ক্রিকেটারই দলের জন্য সমান ভূমিকার ও তাদের খেলোয়াড়ি স্বভাবও একই।
সাকিবের আইপিএল যাত্রা শুরু হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথেই। মাঝে দুই বছর সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলে আবারও কলকাতায় ফিরেছেন সাকিব। এই দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার সুনীল নারাইনও। দুইজন স্পিনার ও অলরাউন্ডার। ফলে একাদশে জায়গা পেতে তাদের একে অপরের সাথে লড়াই করতে হবে এমন ভাবাটাই স্বাভাবিক।
খেলোয়াড়ি পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে খেলোয়াড়ি স্বভাব, শরীরী ভাষা বিবেচনায় কেকেআরের অধিনায়ক মরগানের চোখে সাকিব ও নারাইনের মধ্যে নেই কোনো পার্থক্য। তবে আইপিএলের সামান্য ঘটনাও গড়ে দিতে পারে বড় পার্থক্য, তাই দেখেশুনেই এগোবে দলটি। মরগান বলেন,
আইপিএল এতই প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটি টুর্নামেন্ট যেখানে খুব সূক্ষ্ণ পার্থক্য দিয়েও আমরা বড় ব্যবধান তৈরি করতে পারি, বিশেষ করে প্লে-অফ রাউন্ডে। আমি যখন ছোট ছিলাম, কেবল পেশাদার ক্রিকেটার হয়ে উঠছিলাম, আমি দেখতাম যারা ম্যাচ জেতে কিংবা ম্যাচের যেকোনো সময়ে যারা নিজেদেরকে ধরে রাখতে পারে, তাদের মধ্যে সবসময়ই ইতিবাচক শরীরি ভাষা থাকে কিংবা তারা সবসময়ই এমন কিছু যার মাধ্যমে তারা ম্যাচে অবদান রাখতে পারে। আমার কাছে এই দিক থেকে সাকিব ও নারাইনের কোনো পার্থক্য নেই।’
নারাইনের গত আসরের পারফর্ম মূল্যায়ন করে মরগান বলেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে, বিশেষ করে গত বছরের খেলার দিকে যদি তাকাই তাহলে ওই সময়ে আপনি সুনীলকে বোলিং করতে দিতে পারবেন আবার তার কাছে থেকে ব্যাট হাতেও ভালো কিছু আশা করতে পারবেন। কারণ সে বহুবার এই পরিস্থিতিগুলো মোকাবেলা করেছে। তার নিজের ওপর বিশ্বাস আছে ও দলেরও। সে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলকে জয় এনে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।’
কেকেআরের অধিনায়কের মতে, নিলাম থেকে সাকিবকে দলে টানা কলকাতার দলকে আরও শক্তিশালী করার সাথেসাথে দলের গভীরতায় এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।