Image default
খেলা

ব্যাটের পর বল হাতেও উজ্জ্বল সাকিব, ম্যাচ ড্র

প্র্যাকটিস ম্যাচের ফল কখনই খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না। দেশের বাইরে কোনো গা গরমের ম্যাচকে তাই ট্যুর ম্যাচও বলা হয়। সে খেলার ফল, পারফরম্যান্স ছাপিয়ে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়া আর নিজেদের ঝালিয়ে নেয়াকেই বড় করে দেখা হয়। জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুইদিনের ম্যাচটি ঠিক তেমনই। হারারের তাকাশিংহা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে হওয়া এ ম্যাচে জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোটায়, সেটাও সবার জানা।

জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনে ব্যাটিং-বোলিংটা কেমন হয়, সাদা বলে ২০ ওভারের লিগ খেলে গিয়ে লাল বলে দুইদিনের ম্যাচে মানিয়ে নেয়া কতটা সম্ভব হয়, সেটাই ছিল দেখার। তবে সবার চোখ ছিল সাকিব আল হাসানের দিকে। দেশে ক্লাব ক্রিকেটে মোহামেডানের হয়ে ব্যাট ও বল হাতে নেহায়েত সাদামাটা পারফরম্যান্স করা সাকিব জিম্বাবুয়েতে গিয়ে কী করেন, অনেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তা দেখার জন্য।

তারা সবাই সন্তুষ্ট। দেশে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্লাব ক্রিকেটে নিজেকে খুঁজে না পেলেও জিম্বাবুয়েতে গিয়ে ঠিক স্বরূপে দেখা গিয়েছেন সাকিব। হারারের দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ডার সাকিবকেই দেখা গেছে। ব্যাট হাতে ৫৬ বলে ৭৪ রানের (স্বেচ্ছায় অবসর) দুর্দান্ত ইনিংসের পর এবার বল হাতে ১২.৫ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩৪ রানে ৩ উইকেট শিকারি সাকিব।

সাকিবের সাথে ৩ উইকেট (১৬- ২-৬৪-৩) দখল করেছেন অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজও। বাকি ৪ উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন তিন পেসার শরিফুল ইসলাম (১১-৪-৩৩- ২), তাসকিন আহমেদ (১০-৪-২০-১) আর এবাদত হোসেন (১০-১-২৫-১)। বাংলাদেশের স্পিনার ও পেসারদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে ২০২ রানেই অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ের নির্বাচিত একাদশ। স্বাগতিক দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল একজন একটু প্রতিরোধ গড়তে পেরেছেন। ১৩২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিমিসেন মারুমা।

প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ৩১৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। টপঅর্ডারের এক সাদমান ইসলাম (০) ছাড়া রান পেয়েছেন সবাই। সাইফ হাসান ৬৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ৫২, সাকিব ৭৪ আর লিটন দাস ৩৭ করে স্বেচ্ছায় ব্যাটিং ছেড়ে দেন। মুমিনুল হক আউট হন ৩১ রানে। মাহমুদউল্লাহ ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১১১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো, তামিম ইকবালের ব্যাটিংয়ে নামা।

হাঁটুর ইনজুরিতে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সুপার লিগ না খেলে বিশ্রামে ছিলেন দেশের এক নম্বর ওপেনার তামিম। জিম্বাবুয়ে গিয়েও একদিন মাত্র প্র্যাকটিস করেছেন। এ ম্যাচের ১৩ জনের তালিকায়ও তার নাম ছিল না। তবে প্র্যাকটিস ম্যাচ যেহেতু, বাধ্যবোধকতা নেই কিছুরই। শেষ পর্যন্ত আজ রোববার পড়ন্ত বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তামিম। শেষ বিকেলে প্রায় ২৫ মিনিটের মত খেলা হয়েছে। ৭.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ২২। ৩০ বলে ৪ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৮ রান করেন তামিম। তার সঙ্গী সাদমান ইসলামের সংগ্রহ ছিল ১৩ বলে ৪। এমতাবস্থায় ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করা হয়েছে।

Related posts

মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভাগ্য

News Desk

Bet365 nypbet: 5 ডলার বেট, পুরষ্কার বেটস জিতে 300 ডলার পান বা হিউস্টনের বিপক্ষে কলোরাডোতে হেরে যান

News Desk

২০২২ সালে মেসির প্রথম গোল, পিএসজির বড় জয়

News Desk

Leave a Comment