বার্বাডোসকে উড়িয়ে জ্যামাইকার তৃতীয় সিপিএল শিরোপা
খেলা

বার্বাডোসকে উড়িয়ে জ্যামাইকার তৃতীয় সিপিএল শিরোপা

২০১৬ সালের পর আবারও ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) চ্যাম্পিয়ন জ্যামাইকা তালওয়াস। লিগ টেবিলের শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠে আসা বার্বাডোজ রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো জ্যামাইকা। ফাইনালে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন কিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই শিরোপা জিতে নেয় জ্যামাইকা তালওয়াস। 

সিপিএলের ফাইনালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ১৬১ রান করে বার্বাডোস। ব্যাটিংইয়ে নেমে শুরুটা উড়ন্ত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বার্বাডোজ।



উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারেই ৬৩ রান তুলে ফেলে বার্বাডোজ। ২১ বলে ৩৬ রান করে পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে রাহিম কর্ণওয়াল আউট হয়ে গেলেই ছন্দপতন হয় বার্বাডোজের ব্যাটিংয়ে।

ওপেনিং জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বার্বাডোস। তিন নম্বরে নামা আজম খান চেষ্টা করেছিলেন দলের সংগ্রহ বড় করতে। ৪০ বল খেলে ৪ চার আর ৩ ছক্কায় ৫১ রান করেন আজম। তবে অন্যপাশে আর কেউ বলার মতো কিছু না করতে পারলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬২ রানেই থামে বার্বাডোজের ইনিংস।

জ্যামাইকার হয়ে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ইমাদ ওয়াসিম ও নিকোলসন গর্ডনের দুর্দান্ত বোলিংয়েই  অল্প রানেই আটকে যায় বার্বাডোজ।


ব্র্যান্ডন কিং। ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

১৬৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জ্যামাইকা। গোল্ডেন ডাক মেরে প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার কেনার লুইস। তবে আরেক ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং যেন নেমেছিলেন অন্য কিছুর পণ করেই। বার্বাডোজের বোলারদের ওপর রীতিমত টর্নেডো চালিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। 

কোয়ালিফায়ারে গায়ানাকে হারানোর নায়ক শামারাহ ব্রুকস যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন কিংকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৮৬ রান। ৩৩ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৪৭ রান করে ব্রুকস যখন আউট হন তখন  দলীয় সংগ্রহ ১০.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮৭ রান।


ট্রফি হাতে উচ্ছ্বসিত জ্যামাইকা তালওয়াসের ক্রিকেটাররা। ছবি: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

জয় থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও সেই পথটা পাড়ি দিতে কোনো সমস্যা হয়নি কিংয়ের। ৫০ বলে ১৩ চার আর ২ ছক্কায় ৮৩ রানের ইনিংস ঝেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন কিং। ব্রুকসের আউটের পর রভম্যান পাওয়েল ক্রিজে এসে ১৩ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।  

২ উইকেট হারিয়ে ১৬.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা। দলের হয়ে ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরার পুরস্কার জেতেন অ্যালেন। এছাড়া টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে ব্র্যান্ডন কিং জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও।

এর আগে ২০১৩ ও ২০১৬ সালে দুইবার সিপিএল শিরোপা জিতেছিলো জ্যামাইকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

বার্বাডোজ রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৬১/৭ (কর্নওয়াল ৩৬, মেয়ার্স ২৯, আজম ৫১; অ্যালেন ৪-০-২৪-৩, গর্ডন ৪-০-৩৩-৩)

জ্যামাইকা তালাওয়াস: ১৬.১ ওভারে ১৬২/২ (কিং ৮৩*,  ব্রুকস ৪৭, পাওয়েল ১৪*; মেয়ার্স ২-০-১৪-১, হোল্ডার ৩-০-১৪-১)

ফলাফল: জ্যামাইকা তালওয়াস ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ফাইনাল: ফ্যাবিয়ান অ্যালেন।

প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: ব্র্যান্ডন কিং।

Source link

Related posts

প্রিটজ প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে একটি বিশ্বব্যাপী রেকর্ড অর্জন করেছে

News Desk

সেঞ্চুরি করে কুককে খোঁচা মারলেন বাটলার

News Desk

ব্রাউন “শিডি স্যান্ডার্স মিনিক্যাম্পে সীমিত সুযোগ সত্ত্বেও” অজুহাত “

News Desk

Leave a Comment