এশিয়ান শ্যুটিং প্রতিযোগিতাটি 1 থেকে 14 নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে 18 নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের পর জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ রয়েছে। এএফসি বিশেষ করে আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচ ঘিরে প্রস্তুতি নিয়েছে। দুই ফেডারেশনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে দেশের প্রধান জাতীয় স্টেডিয়াম। গতকাল ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে? তার কথায় স্পষ্ট যে এশিয়ান আর্চারি জাতীয় স্টেডিয়ামে হয় না।
গতকাল বিকেলে জাতীয় স্টেডিয়ামে বিভিন্ন দেশের সরকারি উপদেষ্টা ও কূটনীতিকদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মেহমুদ সজিব ভূঁইয়া। এশিয়ান আর্চারি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: আর্চারি টুর্নামেন্ট আর্মি স্টেডিয়াম বা কমলাপুর স্টেডিয়ামে আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। কারণ এই স্টেডিয়ামে (ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম) একই সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং ভারতের সাথেও একটি ম্যাচ হবে। তাই তারা এই মাঠে থাকবে। আমরা অন্য জায়গায় শুটিং করার পরিকল্পনা করছি। এখানে ফুটবল ম্যাচও হয়। তাই আমি এখানে (এশিয়ান আর্চারি) করতে পারব না। এটি করার জন্য সর্বোত্তম জায়গা এখানে হবে।
<\/span>“}”>
কমলাপুর স্টেডিয়াম বা আর্মি স্টেডিয়াম ছাড়াও জাতীয় সংসদের খোলা জায়গায় এশিয়ান শুটিং করা যায় কি না তা নিয়েও গবেষণা করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। যেখানে এটি করা যেতে পারে সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করুন। আমি এটি সম্ভাব্য সেরা জায়গায় করার চেষ্টা করব। এশিয়ান আর্চারি হবে অন্যত্র।
12 নভেম্বর এশিয়ান শুটিংয়ের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন সব ইভেন্টের ফাইনাল। শুটিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কাজী রাজিবউদ্দিন আহমদ ছাবল গতকাল বিকেলে ফেডারেশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তারা জাতীয় স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল আয়োজন করতে চান। এরপর অন্য কোথাও ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনে আপত্তি নেই ফেডারেশনের।

