ইনিংসের মাঝে পুজারা কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন পন্থকে। সেই কথা শুনতে গিয়ে পন্থ শতরান পাননি। তিন রান দূরে থেমে যান।
তাঁর কথা শুনতে গিয়ে শতরান হয়নি। ৯৭ রানেই আউট হয়ে যান। ম্যাচের মাঝেই চেতেশ্বর পুজারার উপরে রেগে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। সম্প্রতি এক তথ্যচিত্রে সেই ঘটনা বলেছেন পন্থ। সাময়িক রাগ হলেও পরে বিষয়টি মিটে যায়।
২০২১-এর অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের টেস্ট সিরিজ জয় নিয়ে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তথ্যচিত্র ‘বান্দো মে থা দম’। বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে সামলেও সেই সিরিজে ভারতের জয় পাওয়া ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা কীর্তি হিসাবে ইতিহাসে ঠাঁই পেয়েছে। যে টেস্টে পুজারার উপর রেগে গিয়েছিলেন পন্থ, সেখানেও অসামান্য লড়াই দেখা গিয়েছিল। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং হনুমা বিহারীর হার-না-মানা লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র হয়েছিল।
সেই জুটির কথা সকলের মনে আছে। তবে ভিতটা তৈরি করেছিলেন পুজারা এবং পন্থ। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১৪৮ রানের জুটি ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। পুজারা ২০৫ বলে ৭৭ করেন। পন্থ ৯৭ রানে ফিরে যান। সেই জুটির প্রসঙ্গে পন্থ জানিয়েছেন, শতরানের মুখে থাকাকালীন পুজারা তাঁকে বলেন ঝুঁকিপূর্ণ শট না খেলতে। খুচরো রানে মনোযোগ দিতে। সেটা মানতে গিয়েই আউট হন পন্থ।
বলেছেন, “আমি রেগে গিয়েছিলাম। কারণ ইনিংস নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। কী করতে চাইছি সেটা খুব ভাল করে জানতাম। পুজারার কথা শুনে দ্বিধায় পড়ে যাই। একটা দারুণ ছন্দ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আউট হওয়ার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করি, কেন এমন হল? কারণ সেই ম্যাচে শতরান হলে সেটা আমার ক্রিকেটজীবনের অন্যতম সেরা হত।”
পন্থের কথা মেনে নিয়েছেন সেই টেস্টের অধিনায়ক অজিঙ্ক রহাণেও। বলেছেন, “পুজারা ওকে ধরে খেলতে বলেছিল। পরেও মেরে খেলা যেত। কোনও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যদি এসে বলে, ‘তুমি এখন ৯৭ রানে ব্যাট করছ। এ বার সাবধানে খেলো। তা হলে শতরান পাবে’, তখন সেটা মানতে হয়। পন্থ নিজে আত্মবিশ্বাসী ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আউট হয়ে গিয়েছিল। সাজঘরে ফেরার সময় রেগে গিয়েছিল। আমাদের বলল যে ও ৯৭ রানে ব্যাট করছিল সেটা জানেই না। পুজারা ওকে না মনে করালে ও শতরান করেই ফিরত।”