টাইগার বোলারদের দৃঢ়তায় চাপা পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার বিশাল লিড
খেলা

টাইগার বোলারদের দৃঢ়তায় চাপা পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার বিশাল লিড

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার লিড দাঁড়িয়েছে ৪৫৫ রানে। এর আগে, মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশকে অনুসরণ না করে 353 রানের বিশাল লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে 178 রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

আজকের ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০২ রান। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশন শেষে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড নিয়ে দাঁড়ায় ৪৫৫ রানে।

প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বিশাল লিড হাতে নিয়ে লঙ্কানরা স্বাভাবিকভাবেই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ। ফাইনালে একাই ৪ উইকেট নেন এই খেলোয়াড়।



ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করে শুরু করেন হাসান। এরপর দিনেশ চান্দিমাল, নিশান মাদুশঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন এই খেলোয়াড়। এছাড়া আরেক খেলোয়াড় খালেদ আহমেদ ২ উইকেট নেন। মোট ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছে লঙ্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ১১ ওভার বল করে ৫১ রানে ৪ উইকেট নেন, খালিদ ৯ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন।



এর আগে তাইজুলের সঙ্গে দিনের শুরুটা ভালো করেন ওপেনার জাকির হাসান। প্রথম ঘণ্টায় মাত্র ৩০ রান করলেও কোনো উইকেট হারায়নি। জাকিরের শাসনের অর্ধশতকের পর পেসোয়া ফার্নান্দো টাইগার শিবিরে আঘাত হানে। জাকির তার ভেতরে ঢুকে পড়া বলটি রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। তার পায়ের স্টাম্প উপড়ে গেছে। এর আগে, তিনি 54 পয়েন্ট করেছিলেন।

এরপর ক্রিজে আসেন ক্যাপ্টেন নাজম হাসান শান্ত। গাছের গুঁড়িতে ঝুলছে প্রভাত জয়সুরিয়া। আলোড়ন তুলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে দিমুথ করুনারত্নেকে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আগে মাত্র এক রান করেন তিনি। পরবর্তীতে, বিশ্ব ফার্নান্দো গতকাল রাতের প্রহরী তাইগুলের শিকার হন।



বাংলাদেশের নৈশ প্রহরীও জাকিরের মতো সাহসী হয়ে উঠেছেন। আবার একটি বল এসে তাইগুলের রক্ষণ ভেদ করে। 105 রানে 4 উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর 23 বলে 15 রান করেন সাকিব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। সিলেটের পর চট্টগ্রামেও ব্যর্থ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ১৭ বলে ৪ রান করেন তিনি।



শাহাদাত হোসেন দিবো তখন ক্রিজে পৌঁছাতে পারেননি। দলের হয়ে ১৫৫ পয়েন্টের জন্য ৩৬ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি। ডেপোর বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মাহদি হাসান মিরাজকে নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন মুমিনুল হক।

কিন্তু একবারে জীবন পেতে ব্যর্থ হন মিরাজ। ৩১ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হন তিনি। এরপর একাই লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল। তবে দলের ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ৮৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খালিদ আহমেদ আউট হলে ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে আসিথা ফার্নান্দো নেন ৪ উইকেট।

Source link

Related posts

হারুন ডোনাল্ড একবার তীব্র অনুশীলনের সময় মেক-এ-উইশ পেয়েছিলেন

News Desk

স্টেফ কারির শুধুমাত্র খেলোয়াড়দের মিটিং লেকারদের খরচে সংগ্রামী ওয়ারিয়র্স দলকে উৎসাহিত করতে পারেনি

News Desk

রেঞ্জার্স এমন একটি দলের মতো দেখাচ্ছে যা এই মরসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারে না

News Desk

Leave a Comment