Image default
খেলা

চট্টগ্রামকে প্লে-অফে তুললেন জ্যাকস

ওপেনার উইল জ্যাকসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তৃতীয় দল হিসেবে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফ নিশ্চিত  করেছে  চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জ্যাকসের অনবদ্য ৯১ রানের সুবাদে সিলেট সানরাইজার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

এই জয়ে ১০ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠলো চট্টগ্রাম। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। আর ৯ খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে খুলনা টাইগার্স। আজ সন্ধ্যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারালে শেষ দল হিসেবে প্লে-অফে খেলবে খুলনা। আর খুলনা হারলে, প্লে-অফে খেলবে ঢাকা। আগেই কুমিল্লা ও ফরচুন বরিশাল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। লিগ পর্বে শেষ ম্যাচ হেরে ১০ খেলা শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এবারের বিপিএল শেষ করলো সিলেট।  

জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত, এমন সমীকরণকে মাথায় নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  সিলেট সানরাইজার্সের মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।  টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক আফিফ হোসেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই পেয়েছিলো। ২৯ বলে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান  তোলেন সিলেটের দুই ওপেনার দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয়। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন ১৯ বলে ২৪ রান করা  ইনগ্রাম। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মিজানুর রহমান। তিন বল খেলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর প্রথম শিকার হয়ে শূন্য হাতে বিদায় নেন মিজান।

৪৬ রানে ২ উইকেট পতনের পর সিলেটের হাল ধরেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্স ও বিজয়। রানের গতি বাড়িয়ে ১০ ওভার শেষে দলকে ৭৮ রান এনে দেন বিজয় ও সিমন্স। ১১তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ২টি ছক্কা মারেন সিমন্স। ১২তম ওভারেই ১০০ পৌঁছে যায় সিলেটের রান। ১৩তম ওভারের প্রথম বলেই চট্টগ্রামকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন এবারের আসরের একমাত্র হ্যাট্টিকম্যান মৃত্যুঞ্জয়। জমে যাওয়া বিজয়-সিমন্সের জুটি ভাঙেন তিনি। ব্যাক স্কয়ারে বেনি হাওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে থামেন মারমুখী মেজাজে থাকা সিমন্স। ২৭ বল খেলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি।  তৃতীয় উইকেটে বিজয়-সিমন্স ৩৮ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। সিমেন্সর শিকারের ওভারেই চট্টগ্রামকে আবারও উইকেট শিকারের আনন্দে মাতান মৃত্যুঞ্জয়। চতুর্থ বলে বিজয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয়। বোল্ড হবার আগে ২৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান বিজয়। ৩২ রান করেন তিনি।

শেষ দিকে রবি বোপারা ও মোসাদ্দেক হোসেন ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন। মিরাজের ১৭তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন মোসাদ্দেক। পরের ওভারের প্রথম দুই বলেই হাওয়েলকে দুটি ছক্কা মারেন বোপারা। পরে আরও একটি চারে ওই ওভার থেকে ২১ রান পায় সিলেট। এতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান  পর্যন্ত যেতে পারে  সিলেট। ২২ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। চট্টগ্রামের মৃত্যুঞ্জয় ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

১৮৬ রান করতে পারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত চট্টগ্রামের। এমন লক্ষে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দুটি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংস শুরু করা ওপেনার জাকির হাসানকে থামান সিলেটের স্পিনার সোহাগ গাজী। ৯ বলে ১৭ রান করেন জাকির। কিছুক্ষণ বাদে চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন সোহাগই। অধিনায়ক আফিফকে ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে দেননি সোহাগ। ৭ বলে ৭ রান করে ফিরেন আফিফ। এতে ৩৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে সিলেটের বোলারদের উপর কাউন্টার অ্যাটাক করেন দুই বিদেশি উইল জ্যাকস ও চাঁদউইক ওয়ালটন। ওপেনার ইংল্যান্ডের জ্যাকস ষষ্ঠ ওভারে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ রান তোলেন। অন্যপ্রান্তে রানের চাকা ঘুরিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ালটনও। ১২তম ওভারে সিলেটের লেগ-স্পিনার জুবায়ের হোসেনের বলে পরপর দুটি ছক্কা মারেন ওয়ালটন। কিন্তু ঐ ওভারেই রান আউট হন ওয়ালটন। অবসান ঘটে  তিনটি চার ও দুইটি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংসের। তবে আউট হওয়ার আগে  তৃতীয় উইকেটে জ্যাকসের  সঙ্গে  ৪১ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ওয়ালটন।

এরপর হাওয়েলকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জ্যাকস। বেশি দূর যেতে না পারলেও চতুর্থ উইকেটে ২৩ বলে ৩৫ রান দলকে উপহার দেয় এ জুটি। ৩৫ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১২তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সাবধানে খেলতে থাকা হাওয়েল পরবর্তীতে ৮ রানে বিদায় নেন। তাকে শিকার করেন আলাউদ্দিন বাবু।

হাওয়েল যখন ফিরেন তখন ২৭ বলে ৪৩ রানের সমীকরণ চট্টগ্রামের সামনে। ১৭তম ওভারে ৩টি চারে ১৪ রান তোলেন জ্যাকস ও শামিম হোসেন। পরের ওভারের প্রথম বলে চার মেরে বাবুর দ্বিতীয় ডেলিভারিতে থামেন শামিম। ৭ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ রান করেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে জ্যাকস-শামিম ১১ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৮ রানে জয়ের পথ সহজ হয়ে যায় চট্টগ্রামের।  শেষ ২ ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজন পড়ে চট্টগ্রামের। ১৯তম ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে ৯ রান পায় চট্টগ্রাম। আর শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মেরে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন ম্যাচ সেরা জ্যাকস।

 

Source link

Related posts

আমরা 2024 সালে Ford Field-এ প্রতিটি Detroit Lions হোম গেমের টিকিট খুঁজে পেয়েছি

News Desk

ভিনসেন্ট ট্রোচেকের করা উদ্বোধনী গোলে শুরু হয় রেঞ্জার্স

News Desk

Quinn Ewers একটি নির্লজ্জ কিছু অফার মধ্যে NFL খসড়া এড়িয়ে, Texans ছেড়ে যেতে $6 মিলিয়ন প্রস্তাব আছে

News Desk

Leave a Comment