লিওনেল মেসির তিন দিনের ভারত সফর শুরু হয়েছিল চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে। সফরের প্রথম দিনে, আয়োজকদের ব্যর্থতার কারণে দর্শকরা কলকাতার সল্টলেক সিটির যুব ভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে দেখতে পারেননি। ক্ষোভে ফুটবল ভক্তরা স্টেডিয়াম লুট করে। কিন্তু হায়দরাবাদে একই দিনে-রাতে মেসি-সুয়ারেজ-ডি বুলরাকে সম্পূর্ণ আলাদা দেখাচ্ছিল।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) কলকাতার সল্টলেক সিটির যুব ভারতী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন লিওনেল মেসি। হাজার হাজার ভক্ত অধীর আগ্রহে তাকে দেখার জন্য শোতে অপেক্ষা করছিলেন। কলকাতার স্টেডিয়ামে মেসি ঢোকার পর তাকে ঘিরে ধরেছে শত শত মানুষ। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ, ফটোসাংবাদিক ও নিরাপত্তারক্ষীদের অবরোধের কারণে প্রদর্শনীতে আগত দর্শনার্থীরা ঠিকমতো দেখতে পারেননি।
<\/span>“}”>
আজ বিকেলে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মেসি। বিকাল 5.30 টার পরে, তিন ইন্টার মিয়ামি তারকারা শহরের রাত 8 টার ঘড়িতে ওপাল স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছায়।
মেসি যখন মাঠে নামেন, তখন সেখানে প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ চলছিল। সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পলের সঙ্গে ভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি দেখেছিলেন মেসি। মেসি মাঠে আসার পর স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থা রেড্ডি। মিনিটের মধ্যে একটি গোলও করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে মাঠে নামেন মেসি। এ সময় ‘মেসি মেসি’ স্লোগানে ভরে যায় গ্যালারি। সাধারণ মানুষকে মেসির কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ছবি তোলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠ প্রদক্ষিণ করার পর তাদেরকে একটি অস্থায়ী প্ল্যাটফর্মের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন মাঠে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে কথোপকথনে দেখা গেছে মেসিকে। রাহুল মেসি ও সুয়ারেজের হাতে একটি স্যুভেনির তুলে দেন। পরে প্রদর্শনী ম্যাচে বিজয়ী দলকে ‘ছাগল কাপ’ ট্রফি উপহার দেন মেসি।

