বিতর্কিত ইউরোপীয় সুপার লিগ আয়োজনের কার্যক্রম থেকে এখনো সরে আসেনি এর উদ্যোক্তারা। বার্সেলেনার সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেছেন, ইউরোপীয় সুপার লিগ আয়োজনের কাজ ‘প্রক্রিয়াধীন’ আছে। তার প্রত্যাশা উয়েফা ও ফিফার বিরোধিতা সত্বেও আদালতের রায় তাদের পক্ষেই আসবে।
ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব নিয়ে ২০২১ সালে সুপার লিগ আয়োজনের উদ্যোগ আলোড়িত করেছিল ইউরোপীয় ফুটবলকে। কিন্তু সমর্থক ও বিভিন্ন দেশের ফুটবল কর্তৃপক্ষের বিরোধিতায় ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে অধিকাংশ ক্লাব। তবে প্রকল্পের বিষয়ে অটল থাকে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস। বিভিন্ন মহলের আপত্তি সত্বেও সম্ভাব্য সুপার লিগ আয়োজনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ক্লাবগুলো। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে লাপোর্তা বলেন, ‘সুপার লিগ আয়োজনের কাজ এগিয়ে চলেছে। এটি হবে আরও টেকসই।’
সুপার লিগের প্রচারণার দায়িত্ব প্রাপ্ত স্পোর্টস ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এ২২ ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট সম্পর্কে ১০টি নীতি প্রকাশ করেছে এবং ইউরোপের বেশ কিছু সংবাদপত্রে এগুলো প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে একাধিক বিভাগ এবং ৬০ থেকে ৮০ টি দল নিয়ে একটি ‘উন্মুক্ত’ প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়েছে। এ২২ আরও বলেছে,‘ অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অবশ্যই ঘরোয়া টুর্নামেন্টের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে।’
তবে সমালোচকরা বলছে সুপার লীগ (বিভিন্ন দেশের) জাতীয় লিগ ও উয়েফা আয়োজিত ক্লাব প্রতিযোগিতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করছে। লাপোর্তা বলেন, ‘আমরা চাই জাতীয় লিগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এবং উয়েফার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে। আমার মনে হয় সংলাপের মাধ্যমে আমরা উয়েফার সঙ্গে ভালো একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব।’ উল্লেখ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘শীর্ষ ছয়’ ক্লাব আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহ্যাম হটস্পার্সসহ ইউরোপের আরো ছয়টি শীর্ষ ক্লাব নিয়ে গঠিত হয়েছিল সুপার লিগের প্রাথমিক প্রকল্প। পরে অবশ্য সুপার লিগের ওই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো।