বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার কোটি কোটি ফুটবল ভক্ত রয়েছে। কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার ভক্তরা কেমন উল্লাস করেছেন তা আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা জানেন। বাংলাদেশে মেসি ও ম্যারাডোনার ফুটবল ক্রেজ কতটা বেশি তা আর্জেন্টিনার ভক্তরাও জানেন। কিন্তু সেই ছবিই থাকল কি না! প্রশ্ন জাগে।
বাংলাদেশ লাতিন ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে আর্জেন্টিনার ক্লাব অ্যাটলেটিকো শার্লন এবং বাংলাদেশী রেড গ্রিন ফিউচার স্টারদের মধ্যকার ম্যাচে অফসাইড থেকে ক্লিন গোল দেন রেফারি পিথুরাই বড়ুয়া। বাংলাদেশের মাসুদ রানার গোলটি ছিল সম্পূর্ণ অফসাইড গোল। এই গোলে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গোল করে বাংলাদেশ। অফসাইডের কারণে সেপার মানেকের গোল বাতিল করেন রেফারি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে, অ্যাটলেটিকো শার্লোনের হয়ে আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় ইলান সারমিয়েন্তো ১-১ গোলে সমতা আনেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল।
গতকালের ম্যাচে আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের সঙ্গে বাংলাদেশের ফুটবলারদের লড়াই হয়। বাংলাদেশের এহসান হাবিব রিজওয়ান এবং আর্জেন্টিনার মার্টিনেজ ও ডেভিড লালার্ড। তারা বলেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্য এভাবে লড়াই করা অনুচিত। তিনি সালিশের সমালোচনা করেন। অফসাইড টার্গেট সোয়াইপ করুন। ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের করিডোর থেকে রেফারির সমালোচনাও করেন দর্শকরা।
আগের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে বাংলাদেশের লাল-সবুজ ভবিষ্যৎ তারকারা ম্যাচের দিন দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। অন্যান্য গ্যালারি বন্ধ থাকায় পূর্বের গ্যালারিটি পূর্ণ ছিল। গতকাল খুব কম দর্শক এসেছেন। গতকাল আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের ফুটবলারদের মধ্যকার ম্যাচটি দেখেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলাররাও। যদিও ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল সন্ধ্যা ৭টায়। সেই খেলা শুরু হয় ১৫ মিনিট দেরিতে।
<\/span>“}”>
দুই দিন ধরে টুর্নামেন্টে খেলার দাবি বাংলাদেশের লাল সবুজের ফিউচার স্টার ফুটবলাররা। কিন্তু কাউকে বেতন দেওয়া হয় না। বুফে নীরব ছিল। পাভোভকে জানিয়েও কোনো চিকিৎসা পাননি ফুটবলাররা। দলীয় সূত্রে খবর, পাভভ চুপচাপ বসে ছিলেন।
দেশের ফুটবলাররা কোথায় খেলবে, তারা কেন বিনামূল্যে খেলবে। বাফে উদ্যোগ নিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারত। কিন্তু তা না করে গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেসিংরুম থেকে বের হননি রেড গ্রিন ফিউচার স্টারসের খেলোয়াড়রা। দুই ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। কেউ টাকা পায় না। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা মাঠের জন্য ১ লাখ রুপি দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু ফুটবলাররা তাতেই বেশি বিরক্ত।
পরে খেলোয়াড়রা বলেছিল তারা টাকা ছাড়াই ম্যাচ খেলবে। এর পরে, খেলোয়াড়রা গরম করার জন্য লকার রুম ছেড়ে চলে যায়। বাধাও আছে। কোন বিচার নেই। দুই দলের খেলোয়াড়রা নেমে গেলেও রেফারি হাজির না হয়ে ডাগআউটে ফিরে যান। আসলে রেফারি সবাই একসঙ্গে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমন আশ্চর্যজনক আয়োজন। পুফ দেখা উচিত ছিল যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে।
