আভিজাত্যে মোড়ানো খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম
খেলা

আভিজাত্যে মোড়ানো খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম

কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ১৫ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। 

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।



তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।

কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ চতুর্থ পর্বে থাকছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।

খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম, দোহা (৪০ হাজার) :

মধ্য দোহা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আল রাইয়ানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইনাটারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের স্বত্ত পাওয়ার সময় এটিই ছিলো কাতারের একমাত্র ফুটবল ভেন্যু। 


ছবি: সংগৃহীত

১৯৭৬ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে ২০১৭ সালে সংস্কারও করা হয়েছে। ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারী প্লে-অফ রাউন্ড সহ মোট আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২১ নভেম্বর খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই ইরানের বিপক্ষে ফেভারিট ইংল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে।


ছবি: সংগৃহীত

এই স্টেডিয়ামে আরব উপসাগরীয় কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এবং বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় বড় টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২০১১ এশিয়ান কাপের ফাইনাল এবং লিভারপুল-ফ্ল্যামেঙ্গার ২০১৯ ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানেই। এখন অপেক্ষা শুধু দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মঞ্চস্থ হওয়া।


ছবি: সংগৃহীত

 

প্রকৃতপক্ষে কাতারে ফুটবল বা অ্যাথলেটিক্স মানেই খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। নান্দনিক এই স্থাপত্যের চারদিকে রয়েছে অ্যাসপায়ার ডোম, অ্যাসপায়ার পার্ক, দ্যা টর্চ হোটেল আর হামাদ অ্যাকোয়াটিকস সেন্টার।


ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক আলো আর আধুনিক নকশায় তৈরি করা সম্মুখভাগ পুরো স্টেডিয়ামের আকৃতিকে দিয়েছে একটি আভিজাত্যের ছোঁয়া। স্টেডিয়ামের দ্বৈত খিলানগুলো সব সময়ই এটিকে একটি আলাদা পরিচিত দিয়েছে। খেলোয়াড় এবং দর্শকদের জন্য আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় রাখতে খিলানগুলোর নিচে নতুন করে প্রশস্ত ছাউনিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

Source link

Related posts

ইয়ানক্সিজ অস্টিন ওয়েলসের আমার প্রভু থেকে একটি বড় রাত রয়েছে-তবে তিনি এখনও একটি প্রধান জায়গায় হোঁচট খাচ্ছেন

News Desk

PETA এসএমইউকে এসিসি শিরোনামের খেলায় পেরোনার উপস্থিতির আগে তার লাইভ মাসকট প্রোগ্রামটি শেষ করার আহ্বান জানিয়েছে

News Desk

দলের আরও বেশি প্রয়োজন হলে নিক্সের বৃহত্তম বিনিয়োগ অদৃশ্য হয়ে যায়

News Desk

Leave a Comment