শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিকের কাউন্টডাউন। অতিমারীর জেরে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের অপেক্ষা সাধারণের তুলনায় দীর্ঘায়িত হয়েছে এক বছর। গত বৃহস্পতিবার ফুকুশিমায় মশাল দৌড়ের শুভ সূচনার মধ্যে দিয়ে অবসান হল দীর্ঘ প্রতীক্ষার। কিন্তু করোনার কারণে অলিম্পিকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া৷
অলিম্পিকের বাকি আর মাত্র চার মাস৷ কিন্তু মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার স্পোর্টস মিনিস্ট্রার জানিয়ে দিলেন, তার দেশ করোনা ভাইরাসের কারণে টোকিও অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ করবে না৷ অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে Cold War-এর সময় সিওল অলিম্পিক বয়কট করেছিল উত্তর কোরিয়া৷ তারপর প্রথমবার কোনও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াল তারা৷
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জান-ইন আশা করেছিলেন, টোকিও অলিম্পিকের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে৷ কিন্তু অলিম্পিক থেকে উত্তর কোরিয়ার সরে দাঁড়ানোয় এই সম্পর্কে ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালে সামিটে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং আনের মধ্যে ২০২৩ অলিম্পিকে আয়োজনে যৌথভাবে বিড করার চুক্তি হয়েছে৷ কিন্তু উত্তর কোরিয়া টোকিও অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ানোয় তা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে৷
২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে হয়েছিল শীতকালীন অলিম্পিক৷ যেখানে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম তাঁর বোনকে ডেলিগেশন টিমের প্রধান করে পাঠিয়েছিলেন৷ যেখানে দুই দেশের অ্যাথলিটরা একই সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্লাগ মার্চ করেছিলেন৷ কিন্তু টোকিও অলিম্পিক থেকে উত্তর কোরিয়ার সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার Unification Ministry (যিনি দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত) সিওলে বলেন, টোকিও অলিম্পিকে দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নতিতে দারুণ সুযোগ ছিল৷ কিন্তু এমনটা হওয়ার জন্য আমরা দু:খিত৷
টোকিও অলিম্পিক উদোক্তাদের তরফে জানানো হয়, উত্তর কোরিয়ার সরে দাঁড়ানোর খবর তারা নিউজ রিপোর্ট থেকে পেয়েছে৷ তবে অ্যাথলিটদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তার সবরকম চেষ্টা করবে৷
তথ্য সূত্র: কলকাতা ২৪x৭