Image default
খেলা

স্টয়নিস ঝড়ে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কা

হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ালো দ্বিতীয় ম্যাচেই। মার্কাস স্টয়নিসের ঝড়ো ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

পার্থে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ১৫৮ রানের টার্গেট ২১ বল হাতে রেখেই টপকে যায় অজিরা। মাত্র ১৮ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস। ১৭ বলে চার বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম (নেদারল্যান্ডসের মাইবার্গ ২০১৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন)। শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩ ওভারে হজম করেছেন ৫৩ রান।
দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মহেশ থিকসানার বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার (১০ বলে ১১)। প্রথম সাত ওভারে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

বিজ্ঞাপন

হাসারাঙ্গার করা অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার দিয়ে ডেডলক ভাঙেন মিচেল মার্শ। ওই ওভারে আরেকটি ছক্কা হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দেন তিনি। তবে পরের ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ওপর চড়াও হতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন রাজাপাকসের হাতে (১৭ বলে ১৭)।
উইকেটে এসেই মারতে শুরু করেন ম্যাক্সওয়েল। হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৯ রান তুলে নেন তিনি। দুই ছক্কা ও একটি চার হাঁকান ম্যাক্সওয়েল। হাসারাঙ্গা প্রথম ওভারে দেন ১৫ রান।

ঝড়ের পর হঠাৎ থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১১ ও ১২তম ওভার মিলিয়ে আসে মাত্র ৩ রান। লাহিরু কুমারার করা ১২তম ওভারের তৃতীয় বলটি আঘাত হানে ম্যাক্সওয়েলের হেলমেটে। মাঠে ছুটে আসেন ফিজিও। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফের ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। তবে পরের ওভারেই সীমানার কাছে ধরা পড়ে আউট হয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। চামিকা করুণারত্নের স্লোয়ারে উড়িয়ে মেরেছিলেন। ডিপ মিডউইকেটে একেবারে বাউন্ডারির উপর থেকে তার ক্যাচ নেন বদলি নামা ফিল্ডার আশিন বান্দারা। তবে আগের বলেই ফিঞ্চের ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছিলেন বান্দারা।

ম্যাক্সওয়েল যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন মার্কাস স্টয়নিস। হাসারাঙ্গার তৃতীয় ওভার থেকে দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান তুলে নেন তিনি। এতে জয়ের জন্য শেষ পাঁচ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩২ রান। ১৬তম ওভারে থিকসানাকে তিনটি ছক্কা মেরে কাজটা আরও সহজ করে দেন স্টয়নিস। লাহিরু কুমারার পরের ওভারেই নিশ্চিত হয়ে যায় জয়। স্টয়নিসের সঙ্গে ৪২ বলে এক ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

Related posts

ইয়ানক্সিজ ডেভিড বেদনার একটি বৃহত বহু -মানের পিকনিক সরবরাহ করে

News Desk

ক্রিস জোনের জাতীয় সংগীতের অশ্রুগুলির পিছনে আশ্চর্যজনক গল্প

News Desk

ড্যান হারলির পক্ষে জেজে রেডিক ছিলেন এই বছরের লেকার্স ট্রেডিং

News Desk

Leave a Comment