Image default
খেলা

সৌম্য-মেহেদির দারুণ উইলোবাজির পরও গাজী থামলো দেড়শো’তে

শুরুটা ভালোই ছিল। প্রথম ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৪৭; কিন্তু শেষ ৩০ বলে ২৬ রানে খোয়া গেল ৫ উইকেট। একদম বিপরীত চিত্র। আর তাই আজ আবাহনীর বিপক্ষে শেরে বাংলায় ১০ ওভার শেষে এক উইকেটে ৮৩ রান তোলা গাজী গ্রুপ ২০ ওভার শেষে থামলো মাত্র ১৫০ রানে।

অথচ দুই ওপেনার সৌম্য সরকার আর মেহেদি হাসান হাত খুলে খেলে রানের চাকা সচল করে দিয়েছেন। ওই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অন্তত আরেকজন হাত খুলে খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে উঠতে পারতো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।

বাঁ-হাতি সৌম্য চেষ্টা করেছেন দলকে লড়াকু পুঁজি গড়ে দিতে। কিন্তু ওপেনিং পার্টনার মেহেদি ছাড়া আর কেউ তাকে সহযোগিতা করতে পারেননি। আবাহনীর বোলারদের ইচ্ছেমত পিটিয়ে সৌম্য আর মেহেদি জুটি ৯ ওভারে তুলে দিয়েছিলেন ৭৮ রান।

মেহেদি ৩২ বলে ৭ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ৪৩ রান করে লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে আউট হওয়ার পর থেকেই অতি দ্রুত পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। বিপ্লবের পিচড আপ ডেলিভারিকে স্লগ করতে গিয়ে মাঝ ব্যাটে আনতে পারেননি মেহেদি। বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে আকাশে উঠে যায়।

একপ্রান্তে সৌম্য আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়ালেও অন্যদিকে কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। মুমিনুল হক চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা এ বাঁ-হাতিও পারেননি কার্যকর ভূমিকা নিতে। ৯ বলে ১২ রান করে রান আউট হয়ে যান মুমিনুল। ডাবলস নিতে গিয়ে আর ঠিকমত শেষ করতে পারেননি তিনি। আফিফের চমৎকার থ্রো কিপার মুশফিকের গ্লাভসে চলে আসে অতি দ্রুত। মুমিনুলের আর ফেরা হয়নি।

১১.২ ওভারে ১০৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর শুরু হয় আসা আর যাওয়ার পালা। সৌম্য শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটে থাকার পাশাপাশি রান তোলার কাজ চালিয়ে গেলেও বাকিরা ব্যর্থতার মিছিল করায় গাজী গ্রুপ থামে ১৫০ রানে।

ইনিংসের ঠিক এক বল আগে পেসার শহিদুলের বলে আউট হন সৌম্য। তার আগে ইয়াসির আলী (১৬ বলে ৯), অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩ বলে ৫), জাকির হাসান (৩ বলে ১), আরিফুল হক (৭ বলে ৫) আর কিপার আকবর আলী (১ বলে ১*) সবাই ব্যর্থতার ঘানি টানলে গাজী গ্রুপের বড় স্কোরের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

আবাহনীর পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এবারের লিগে আজ প্রথম সুযোগ পেয়ে ১৯ রানে দুই উইকেট দখল করেছেন বিপ্লব। তার দ্বিতীয় শিকার হন ইয়াসির আলী রাব্বি। কাট করতে গিয়ে শর্ট পয়েন্টে ধরা পড়েন রাব্বি। এছাড়া পেসার শহিদুলও ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৪১।

Related posts

বসন্ত প্রশিক্ষণ এমএলবির সবচেয়ে আকর্ষণীয় মানুষ

News Desk

Bears Brass Steelers কোচ মাইক টমলিনের সম্ভাব্য বাণিজ্য সম্পর্কে আলোচনায় নিযুক্ত: রিপোর্ট

News Desk

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট প্লেয়ার 5 এর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটি নির্মূল করা হয়েছিল

News Desk

Leave a Comment