সিটির হারের দিনে বিধ্বস্ত লিভারপুল
খেলা

সিটির হারের দিনে বিধ্বস্ত লিভারপুল

পিছিয়ে পড়েও নাটকীয় ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে সিটিকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছে ইউনাইটেড। যদিও ব্রুনো ফার্নান্দেসের সমতাসূচক গোলটি নিয়ে ভিএআর প্রযুক্তির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের জয় নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেছে। অন্যদিকে দিনের আরেক ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লিভারপুল।




শনিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রিমিয়ার লিগের পুরোটা দিনই ছিল নাটকীয়তায় ভরা। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ১২ মিনিট বাকি থাকতে ইউনাইটেডে জ্যাক গ্রিলিশের ৬০ মিনিটের হেডের গোলে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু পর্তুগীজ মিডফিল্ডার ফার্নান্দেসের সমতাসূচক গোলের পর মার্কো রাশফোর্ডের ৮২ মিনিটের গোলে শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের জয় নিশ্চিত হয়। ফার্নান্দেসের গোলটি ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কাসেমিরোর পাস থেকে ফার্নান্দেসের কাছে বল যাওয়ার আগে রাশফোর্ড নিশ্চিত অফসাইড পজিশনে ছিলেন। সিটিজেনরা সহকারী রেফারির পতাকা উঠানো দেখে গোল থামানোর কোন চেষ্টাই করেনি। রাশফোর্ড বলটি স্পর্শ করেননি এবং ভিএআর জানিয়েছে তার জন্য ম্যাচে কোন প্রভাব পড়েনি। কিন্তু সিটি জোড়ালো দাবী জানিয়েছে রাশফোর্ডের কারণে গোলরক্ষক এডারসনসহ ডিফেন্ডাররা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছে।



সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি বিবিসি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘প্রথম গোলটি সম্পূর্ণ হাস্যকর ছিল, কেন যে এটাকে বাতিল করা হলো না তা কারোরই বোধগম্য নয়। রাশফোর্ড অফসাইড পজিশনে ছিল। সে বল স্পর্শ করেনি ঠিকই কিন্তু তার কারণে আমরা বাঁধাগ্রস্থ হয়েছি।’ সিটি বস পেপ গার্দিওলা বলেছেন রাশফোর্ডের অফসাইড নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত রেফারির ও ভিএআর’র। কিন্তু আমার ডিফেন্ডাররা রাশফোর্ডের জন্য লাইন তৈরি করেছিল। তারা যদি জানতো এখানে ফার্নান্দেস আছে তাহলে ঐ লাইন তৈরি করতো না। আমরা যথাযথভাবেই অফসাইডের লাইন তৈরি করেছিলাম।’

তৃতীয় স্থানের দল ইউনাইটেড এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির তুলনায় মাত্র এক পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটা ইউনাইটেডের টানা নবম জয়। ইউনাইটেড বস এরিক টেন হাগ বলেছেন, ‘সমর্থকরা হয়তোবা শিরোপার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু আমরা না। আমরা উন্নতি করছি এটা নিশ্চিত। কিন্তু এখনো অনেকটা পথ বাকি।’ 



এবারের মৌসুমের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি লিভারপুলের, যার ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। বিশেষ করে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করাই এখন রেডদের সামনে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখানো ব্রাইটন যোগ্য দল হিসেবেই ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যায়। কাওরু মিটোমার নিখুঁত ক্রস থেকে ফাকায় দাঁড়ানো সোলি মার্চ ব্রাইটনকে এগিয়ে দেয়। ৬ মিনিট পরে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে মার্চ আবারও গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮১ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ড্যানি ওয়েলবেক মার্চের পাস থেকে দুর্দান্ত ভলিতে ব্যবধান বাড়ান। লিগের আগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের মাঠেও পরাজিত হয়েছিল লিভারপুল। এই মুহূর্তে শীর্ষ চারের থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে নবম স্থানে রয়েছে অল রেডরা। ম্যাচ শেষে লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ বলেন, ‘সত্যিই দুঃখজনক। এই ধরনের বাজে ম্যাচ আমরা কখনো খেলেছি কিনা আমি মনে করতে পারছিনা। একটি আগাছালো দলের বিরুদ্ধে একটি গোছালো দল খেলতে নেমেছিল।’

Source link

Related posts

সিলেটকে উড়িয়ে দিয়ে খুলনার রাজসিক জয়

News Desk

2016 থেকে রাম কি তাদের প্রথম রাউন্ডের বাছাইকে রাখবে বা ট্রেড করবে? GM Les Snead খুব পছন্দ হয়েছে

News Desk

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কথা বলছে ব্রাজিলের পক্ষে

News Desk

Leave a Comment