Image default
খেলা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বর্জনের হুমকি ইংলিশদের

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ধর্মের কারণে হেনস্তার শিকার হয়েছেন মঈন আলি। ইংলিশ ক্রিকেটাররা সবাই তার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। বর্ণের কারণে এমন হেনস্তার শিকার হতে হয় জফরা আর্চারকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এরকম নেতিবাচক ব্যবহার বন্ধ না হলে এই মাধ্যমটিই বর্জনের ইঙ্গিত দিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড।

ক্রিকেটে বর্ণ বৈষমের ঘটনা নতুন নয়। দর্শক থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম পর্যন্তও এই হীন ঘটনা ঘটে থাকে, যদিও বর্তমানে তার উদাহরণ কম। কিন্তু বছরের শুরুতেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে শিকার হয়েছিলেন হেনস্তার। সেটা ছিল সরাসরি গ্যালারি থেকে। তৎক্ষণাৎ শাস্তি স্বরূপ তাদেরকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে একইভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের জফরা আর্চারও।

এতো গেল মাঠের দর্শকদের কথা। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে এখানেও সরাসরি ক্রিকেটারদেরকে উদ্দেশ্য করে হেয় প্রতিপন্নমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। সম্প্রতি ধর্মীয় ইস্যুতে তসলিমা নাসরীন ইংলিশ ক্রিকেটার মঈনকে আক্রমণ করেন। এভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে আর্চারকেও। কিন্তু বরাবরই ইংল্যান্ডের বাকি ক্রিকেটাররা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি, বরং একধাপ এগিয়ে ব্রড জানালেন প্রয়োজন মনে হলে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই বর্জন করবেন।

ব্রড বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অনেক ইতিবাচক দিক আছে। কিন্তু আমরা যদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইতিবাচক দিকগুলোই হারিয়ে ফেলি তাহলে সেটির প্রতি আমার সমর্থন থাকে কীভাবে! যদি প্রতিক্রিয়া দেখানোর দরকার হয়, পরিবর্তনের প্রয়োজন এবং আমাদের ড্রেসিংরুমের নেতাদের থেকে সেই আহ্বান আসে তাহলে আমরা অবশ্যই সাড়া দিবো।

তিনি কড়া বার্তা দিয়ে আরও যোগ করেন, ‘আমাদের উচ্চস্তরে ভালো কয়েকজন মানুষ আছেন যারা সব ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলেন এবং দলের ভালোই কথায় সবার আগে ভাবেন। এটি একটি কড়া বার্তা। অন্তত আমার কাছে মনে হয় এটা গুরুত্বপূর্ণ।

Related posts

রনি রিভার্সে র‌্যামস পুনরায় সাইনিং চালানো। কিরিন উইলিয়ামস কি পরের?

News Desk

সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

News Desk

অনেক দেরি হওয়ার আগে অ্যালেক্সিস লাফ্রেনিয়ারকে রেঞ্জার্সের হাতাহাতি পাওয়ার প্লে শুরু করতে হবে

News Desk

Leave a Comment