Image default
খেলা

শুক্কুরের ঝড়ে সাকিবদের জয়

সম্প্রতি ক্লাব নির্বাচনের পর নতুন প্রশাসন এসেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। দায়িত্ব প্রাপ্তরা নির্বাচিত হয়ে জানিয়েছেন, ক্লাবের দুর্দশা কাটিয়ে পুরনো রূপে ফেরাবেন সাদাকালোদের। তবে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সে সুযোগ ছিল সামান্যই। কারণ, নির্বাচনের আগেই গত বছর গড়া হয়েছে এই দল। তবুও সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন কর্তারা। বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে দলে ভিড়িয়েছেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে।

ডিপিএলের এবারের আসর হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অধিনায়কের দায়িত্ব সাকিবের কাঁধে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অলরাউন্ড পারফর্ম দিয়ে জয় এনে দিয়েছেন সাকিব। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান। এই ম্যাচে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। তবে পূর্ণ দুই পয়েন্ট পেয়েছে তার দল। আগে ব্যাট করে মোহামেডানকে ১৫৮ রানে লক্ষ্য দেয় পারটেক্স। ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সাদাকালোরা।

এদিন মিরপুরে দিনের তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় পারটেক্স। জবাব দিতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান। তবে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন পারটেক্স অধিনায়ক তাসামুল হক, ১৭ রানে ব্যাট করা ইমনকে আউট করার পরের বলেই সাকিবকে বোল্ড করেন তিনি। শূন্য হাতে সাজঘরে ফিরতে হয় সাকিবকে।

এরপর শামসুর রহমান ১৯ ও মাহমুদুল হাসান ৩৮ রান করে আউট হলে পরাজয়ের শঙ্কা উকি দেয় মোহামেডান শিবিরে। তখন দলের হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর। টর্নেডো ইনিংসে ২৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে নাদিফ চৌধুরীর ২৩ বলে অপরাজিত ২৭ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারানো মোহামেডান ৬ উইকেটের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে। পারটেক্সের হয়ে তাসামুল একাই নেন ৩ উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে উইকেট হারায় পারটেক্স। ওপেনার সায়েম আলমকে ফেরান সাকিব। এদিন বল হাতে এটি তার একমাত্র সাফল্য। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পারটেক্স। আব্বাস মূসা ও তাসামুল হকের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৯৫ রান। যেখানে ব্যাট চালিয়ে খেলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন আব্বাস। খেলেন ৪৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস।

বিধ্বংসী হয়ে ওঠা আব্বাসকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আউট হওয়ার আগে সমান ৫টি চার-ছক্কা হাঁকান মূসা। একই ওভারে নাজমুল হোসেন মিলনকে ফেরান তাসকিন। আব্বাসের পর ফিফটির স্বাদ পান তাসামুল। রান আউটে কাটা পড়েন ব্যক্তিগত ৫৯ রানে। শেষদিকে শফিউল হায়াতের ১১ বলে ১৮ রানেরর উপর ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় পারটেক্স।

Related posts

মেইন লরেল লিবি থেকে একটি মামলা

News Desk

জায়ান্টস’ টাইরন ট্রেসি জুনিয়র ইনজুরির পরে আড়াআড়ি হয়ে যেতে দেখায়

News Desk

ইগর শেস্টারকিন পোস্টকে জানায় যে কীভাবে আলোড়ন দেওয়ার সময় দৃষ্টিকোণটি রাখা যায়: “আপনি কখনই জানেন না

News Desk

Leave a Comment