স্বস্তির জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে টিকে রইলো আলবিসেলেস্তেরা। গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেয়া লিওনেল মেসি। হয়েছেন ম্যাচসেরা। মেসি ম্যাজিকের পর দর্শনীয় গোলে আর্জেন্টিনাকে বিপদমুক্ত করেন এনজো ফার্নান্দেজ।
শনিবার রাতে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রথমার্ধে ছন্দের অভাব ছিল আর্র্জেন্টিনার খেলায়। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও মেক্সিকোর রক্ষণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল মেসিদের আক্রমণ। বিরতির পর চনমনে দেখা যায় আর্জেন্টাইনদের। খেলার গতি এবং পাস অ্যাকিউরিসি বাড়ে। আক্রমণেও ধার দেখায় লিওনেল স্কালোনির দল। ৬৪তম মিনিটে দুর্দান্ত গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দেন মেসি।
বিজ্ঞাপন
আর ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বদলি নামা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ। মেসির গোলের পরও শঙ্কা ছিল। কারণ মেক্সিকো সমতা টানলে বড় বিপদে পড়তে হতো আর্জেন্টিনাকে। কোটি আর্জেন্টাইনের মনে স্বস্তি এনে দেন এনজো ফার্নান্দেজ।
তরুণ সতীর্থের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘এনজোর (ফার্নান্দেজ) পারফরম্যান্সে আমি বিস্মিত নই। আমি তাকে জানি এবং প্রতিদিন অনুশীলনে দেখি। গোলটি তার প্রাপ্য ছিল। দর্শনীয় একজন খেলোয়াড় সে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আমি তার জন্য আনন্দিত।’
এনজো ফার্নান্দেজের গোলের পর কেঁদেছেন আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টিওয়াইসি স্পোর্টসকে এমিলিয়ানো বলেন, ‘আজ (শনিবার) দ্বিতীয় গোলের পর আমি তো কেঁদেই ফেলেছিলাম। আমি সব সময়ই চাপ নিয়ে খেলি। আমি বিশ্বের সেরা লীগে (প্রিমিয়ার লীগ) খেলি। একটি কোপা আমেরিকা খেলেছি। ওয়েম্বলিতে ফিনালিসিমা খেলেছি… সবকিছুই খুব আবেগের। কিন্তু আজকের আবেগটা অন্য সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে।’