Image default
খেলা

মিডফিল্ডার থেকে গোলরক্ষক, জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত রিভার প্লেট। সব গোলরক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তাতে দলের মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকে খেলাতে হলো গোলরক্ষক হিসেবে। সেই ‘গোলরক্ষক’ জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও! তাতে সান্তা ফে’কে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা লিবার্তাদোরেসে ডি গ্রুপের শীর্ষেই রইলো মার্সেলো গ্যালার্দোর শিষ্যরা।

দলটিতে করোনার সংক্রমণ ছিল আগেই। রোববার রাতে আর্জেন্টাইন সুপার লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বোকা জুনিয়র্সের মুখোমুখি হওয়ার আগে দলটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১০ জন। সান্তা ফে’র বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২০-এ, আক্রান্ত হন দলের চার গোলরক্ষক। কোচ মার্সেলো গ্যালার্দো চেয়েছিলেন বি দল থেকে গোলরক্ষক নিয়ে নামতে, কিন্তু কনমেবল সে চেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়।

এর ফলে তার দল দাঁড় করানো নিয়েই সৃষ্টি হয় শঙ্কা। মাত্র ১১ জন নিয়ে নামতে হয় মাঠে, যার মধ্যে গোলরক্ষক ছিলেন না একজনও। বাধ্য হয়ে মিডফিল্ডার এনজো পেরেজকে নিয়ে আসেন গোলপোস্টের নিচে। আর ডিফেন্ডার পিনোলা খেলেছেন ভাঙা হাত নিয়ে!

ম্যাচের আগে দলের এ দুরবস্থার ছাপ অবশ্য দেখা যায়নি খেলার শুরুতে। মাত্র ছয় মিনিট যেতেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিভার প্লেট। এরপর রক্ষণকাজটা ভালোভাবে সামলে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। ঘটনা এখানে শেষ হলে স্বাভাবিকই হতো। সেই পেরেজ ম্যাচের পর জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

এরপর তিনি জানালেন, গোলরক্ষক সতীর্থদের পরামর্শ মেনেই দলকে নিয়ে যেতে পেরেছেন জয়ের বন্দরে। পেরেজ বলেন, ‘আমার গোলরক্ষক সতীর্থরা আমাকে খুদে বার্তা দিয়েছিল, কিছু কিছু ব্যাপারে আমিও জিজ্ঞেস করেছিলা। গোলকিপিং কোচের অধীনে কিছু অনুশীলনও করেছিলাম।’

প্রথমবারের মতো গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে কিছুটা উত্তেজনাও কাজ করছিল পেরেজের মধ্যে। তা সামলে নেওয়ার টোটকাও জানা ছিল তার। বললেন, ‘উত্তেজনাবশত কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলছিলাম আমি। তবে পেনাল্টি স্পটকে রেফারেন্স হিসেবে রাখায় আবার খেলায় ফিরতে পেরেছি আমি।’

Related posts

একটি নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিক্স এবং পেসাররা একটি তিক্ত প্লে-অফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভাগ করে নেয়

News Desk

600 পঞ্চম কলস হিসাবে বিস্তৃত

News Desk

ফরাসি গল্ফ প্লেয়ার ভিক্টর পেরেজ বিরল টেক্কা দিয়ে আমাদের ইতিহাস খুলেছে

News Desk

Leave a Comment