ব্যর্থতার চাপেই শিখতে চান মুমিনুল
খেলা

ব্যর্থতার চাপেই শিখতে চান মুমিনুল

বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট জয়ের ইতিহাস গড়েছিল মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এটা অনস্বীকার্য যে, ওই জয়ের পর প্রত্যাশার চাপ বেড়েছে দলটার ওপর। র‌্যাংকিংয়ের ৯ নম্বর দলটাও বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিততে পারে, এমন আত্মবিশ্বাস সঞ্চারিত হয়েছে সবার মাঝে। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পুরো উল্টো অভিজ্ঞতা হজম করতে হয়েছে সবাইকে।

চিরাচরিত পেস কন্ডিশনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশকে স্পিনে ঘায়েল করেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজটা ২-০ তে জিতেছে ডিন এলগারের দল। অন্তত একটি জয়ের আশা করা বাংলাদেশকে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। হারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাটিংয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার তিক্ততা। দুই ইনিংসে ১০০-এর নিচে অলআউট হয়েছে টাইগাররা।

চার ইনিংসে ১৩ রান করা মুমিনুলও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যাটিং ব্যর্থতা মিলে সমালোচিত এ বাঁহাতি ক্রিকেটার। তবে অধিনায়ক হিসেবে এই চাপ মেনে নিতে রাজি তিনি। আর ব্যর্থতার চাপ থেকেই শিখতে চান মুমিনুল।

গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে এমনটাই বলেছেন টেস্ট অধিনায়ক। গতকাল সকালে বাংলাদেশ দলের প্রথম গ্রুপ এসেছে, আজ দ্বিতীয় গ্রুপ আসবে একই সময়ে এবং বিকাল পৌনে ৫টায় আসবে তৃতীয় গ্রুপ।



প্রোটিয়াদের স্পিনিং কৌশল চমকে দিয়েছিল টাইগারদের। বিমানবন্দরে মুমিনুল বলেছেন, ‘অনেক সময় ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই না সব ক্ষেত্রেই আপনি যেটা আশা করবেন তার বিপরীতটাও হতে পারে। আপনার প্রতিপক্ষ এমন কিছু করবে যাতে আপনি সারপ্রাইজ হবেন। কিন্তু ওই লেভেলে গিয়ে আমি আশা করিনি এ কারণে এটা হয়েছে, এটা কোনো অজুহাত না। টপ লেভেলে খেলতে হলে অপ্রত্যাশিত ব্যাপারগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয়, আমরা এটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি।’

প্রথম টেস্টে সিনিয়রদের চাপে টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন মুমিনুল। তবে গতকাল অগ্রজদের আড়াল করে ওই সিদ্ধান্তের ভার নিজের ওপর নিয়েছেন তিনি।

দলের ব্যর্থতার কারণে অধিনায়ক হিসেবে চাপ বাড়ছে মুমিনুলের ওপর। সেই চাপকে ধারণ করছেন এ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন্সি এমন একটা জিনিস যেখানে আপনি পারফরম না করলে চাপ আসবেই। এই লেভেলে ক্যাপ্টেন্সি করলে চাপ নিতে হবে। এসব নিয়ে আমি চিন্তিত না। চাপ আসা মানে আপনার গ্রোথ হওয়া যেটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি যত চাপ নিবেন আপনার খেলা তত ইমপ্রুভ হবে।’

মহারাজ, হার্মারের তোপে দুই ইনিংসে ৫৩ ও ৮০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। মুমিনুলের মতে, হতাশা বাড়ছে দলের প্রতি সবার প্রত্যাশা বেড়ে যাওয়ায়। তিনি বলেন, ‘এমনটা কিন্তু অনেকবারই হয়েছে, বাংলাদেশেও কিন্তু হয়েছে। আপনাদের হয়তো প্রত্যাশা বেশি ছিল। অনেকেই মনে করছেন, একটা টেস্ট জিতে আমরা হয়তো বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল হয়ে গেছি। ওয়ানডেতে তো আমরা অনেক স্ট্যাবল টিম, টেস্টে না। সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। নড়বড়ের কিছুই হয়নি।’

Source link

Related posts

বাবর-রিজওয়ানের ফিফটি

News Desk

ডেলন গ্যাব্রিয়েল সাইডার স্যান্ডার্সকে একটি নিখুঁত প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন: “কেবল দলকে বিভক্ত করুন”

News Desk

ইয়ানক্সিজ চুক্তি সম্প্রসারণের পরে আমরা এখনও তাকে অ্যারন বোন সম্পর্কে জানি না

News Desk

Leave a Comment