কাতারের লোককথার সাক্ষী আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম
খেলা

কাতারের লোককথার সাক্ষী আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম

কাতারের মাটিতে বিশ্ব ফুটবলের মহারণ বসতে বাকি আর মাত্র ২২ দিন। এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ আর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। 

‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র মহারণে দলগুলো কাতারজুড়ে যে ৮টি স্টেডিয়ামে বিশ্ব শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে নামবে প্রস্তুত হয়ে গেছে সেগুলোও। ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো তৈরিতেই খরচ হয়েছে সিংহভাগ অর্থ।



তৈরি কাতার, তৈরি স্টেডিয়াম, ৩২টি দলও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সময়ের কাজে ব্যস্ত। অপেক্ষা শুধু বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে বল পায়ে কিক-অফের। তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো সম্পর্কে।

কাতার বিশ্বকাপের ৮ স্টেডিয়াম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ তৃতীয় পর্বে থাকছে আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম নিয়ে বিস্তারিত।

আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম, আল-রাইয়ান (৪০ হাজার) :

মধ্য দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে কাতারের ঐতিহাসিক শহর আল-রাইয়ান অবস্থিত ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম সফল ক্লাব আল-রাইয়ানের হোম ভেন্যু এই আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম।  ‘আল-রাইয়ান স্টেডিয়াম’ নামেও পরিচিত এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। 


ছবি: সংগৃহীত

নক আউট পর্ব পর্যন্ত টুর্নামেন্টের মোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেডিয়ামে। কাতারের ঘরোয়া ফুটবলের দল আল-রাইয়ান ও আল-খারিথিয়াত ক্লাব এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।


ছবি: সংগৃহীত

২০০৩ সালে যখন প্রথম এই স্টেডিয়াম নির্মিত হয় তখন এর ধারণক্ষমতা ছিলো ২১ হাজার। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পুরোনো ভেন্যুর ঠিক পাশে নতুন করে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। সংস্কারের পরই ৪০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায় এর  ধারণ ক্ষমতা। 


ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে নির্মাণের পর ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমির কাপ-২০২০ এর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় এই স্টেডিয়ামটির। 


ছবি: সংগৃহীত

এডুকেশন সিটির কাছেই অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটির জন্য রয়েছে একটি মেট্রো স্টেশনও। এখানে আসলে সমর্থকরা মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমির আবহ দেখার সঙ্গে অনুধাবনও করতে পারবে। 


ছবি: সংগৃহীত

মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি কাতারের অসংখ্য লোককথার সাক্ষী। স্টেডিয়ামের নকশা এবং আশেপাশের বিল্ডিং, স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিকগুলোকে তুলে ধরেছে। স্টেডিয়ামের সামনের অংশ বালির টিলাতে পরিপূর্ণ, সঙ্গে নানান জ্যামিতিক আকৃতিতে সারিবদ্ধ গাছ মরুভূমির সৌন্দর্যকে অপরূপ নয়নাভিরাম করে তুলেছে। 


ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা আবার ২০ হাজারে নামিয়ে নিয়ে আসা হবে। এছাড়াও পূর্বের ন্যায় আল-রাইয়ান স্পোর্টস ক্লাবের হোম ভেন্যু হিসেবেই ব্যবহৃত হবে।

Source link

Related posts

টিভিতে আজকের খেলার সূচি

News Desk

চাইলেই বাংলাদেশে কয়েকজন সিনিয়র পাঠিয়ে জিততে পারতাম

News Desk

জমজদের বিরুদ্ধে র‌্যালির পর আট ম্যাচে সপ্তমবারের মতো হেরেছে অ্যাঞ্জেলস

News Desk

Leave a Comment