Image default
খেলা

কঠিন কথা বলেই যাবেন রাহুল, কারও ভালো না লাগলেও

রাহুল দ্রাবিড় হয়তো জানতেন এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। তাই হয়তো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তাঁকে ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে অনেক কিছু বলতে হলো।

বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বাদ পড়ে গেছেন ভারতের টেস্ট দল থেকে। নির্বাচকেরা যে ঋদ্ধিমানের বয়সকে সামনে এনে তাঁকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেটি কোচ রাহুল দ্রাবিড়ই প্রথম জানান। খোলাখুলিভাবেই ঋদ্ধিমানকে ডেকে তিনি জানিয়ে দেন তাঁকে নির্বাচকেরা কেন বাদ দিতে চাচ্ছেন, এ অবস্থায় তাঁর কী করা উচিত। কোচ ও খেলোয়াড়ের মধ্যকার খুবই ভেতরের এই কথোপকথন বাইরে প্রকাশ করা ঋদ্ধিমানের ঠিক হয়েছে কি না—এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করে রাহুল বলেছেন, দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এমন আলোচনা তাঁর জন্য নতুন কিছু নয়। তিনি এটি ভবিষ্যতেও করে যাবেন।

কিছুদিন আগে রাহুল ঋদ্ধিমানকে ডেকে জানিয়ে দেন, টেস্ট দলে ভবিষ্যতে তাঁকে বিবেচনা করা হবে না এবং তাঁর উচিত অবসরের ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দেওয়া। ৩৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের জন্য কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মুখে এমন কথা ধাক্কা হিসেবেই আসে। কারণ, গত নভেম্বরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে একটি ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেছিলেন ‘ঋদ্ধি।’ রাহুল তাঁকে বলেন, নির্বাচকেরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দল গঠন করতে চাচ্ছেন, সে কারণে বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে ঋদ্ধিমানের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে রাহুল এ ব্যাপারে সবকিছুই স্পষ্ট করেছেন, ‘দেখুন আমি জানি না ঋদ্ধি কী বলেছে। তবে আমাকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলতেই হবে। সেই কথা যে সবার সব সময় ভালো লাগবে, ব্যাপারটা এমন নয়। আমি ঋদ্ধিকে পছন্দ করি। ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদানকে শ্রদ্ধা করি। শ্রদ্ধা করি ওর অর্জনকেও। কোচ হিসেবে অনেক সময় আমাকে কঠিন কথা বলতে হয়, আমি অবশ্যই প্রত্যাশা করি না যে আমার সব কথা ক্রিকেটাররা ভালোবেসে নেবে।’

ঋদ্ধিমানকে তাঁর বাদ পড়ার কারণ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে দলের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেই মনে করেন রাহুল। আর এটা করা হয়েছে স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই, ‘ঋষভ পন্ত এরই মধ্যে টেস্ট দলে এক নম্বর উইকেটকিপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁকে খেলাতেই হবে। আমাদের লক্ষ্য এখন একজন দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে একজন তরুণকে সুযোগ দেওয়া। এ বছর মাত্র তিনটি টেস্ট ম্যাচ আছে, আমরা একজন নতুনকে ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। ঋদ্ধির সঙ্গে আমার কথা বলার কোনো দরকার ছিল না, কিন্তু আমি এমন নই। আমি কথা বলি সবার সঙ্গে। ওর (ঋদ্ধিমান সাহা) অন্তত একটা ব্যাপার মাথায় রাখা উচিত, আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি।’

Related posts

শিরোপার নির্ধারক ম্যাচটি এখন নয়, পরে খেলতে চায় দুই ক্লাব

News Desk

হলো না ২০০৭ ফিরে এলো ১৯৯২

News Desk

যে কোনও ট্র্যাভিস কেলি পদ্ধতি মার্কিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অবসর গ্রহণের দিকে “ঝোঁক” করে, কারণ .5 ১১.৫ মিলিয়ন ডলারের সিদ্ধান্তটি বর্জন করছে

News Desk

Leave a Comment