Image default
স্বাস্থ্য

নখ দেখেই বুঝে নিন আপনি করোনায় আক্রান্ত কি-না!

শরীরে মারাত্মক সব রোগের লক্ষণ হিসেবে নখ ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে কালচে দাগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ ইউরিক এসিড বা লিভারের সমস্যায় নখের রং পাল্টে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়।

ঠিক তেমনই করোনায় আক্রান্ত হলে কোভিড নেইলস হিসেবে নখে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আপনার নখে যদি কোভিড নেইলস এর কোনো উপসর্গ দেখতে পান; তাহলে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। বিশেষজ্ঞরা করোনা রোগীর নখ পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু অস্বাভাবিকতা দেখেছেন।

নিউইয়র্কের সিনাই মাউন্টের চর্মরোগের সহযোগী ক্লিনিকেল অধ্যাপক জেফ্রি ওয়েইনবার্গ বলেন, যদিও শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণে নখে পরিবর্তন হতে পারে; তবে করোনা রোগীর নখেও বিশেষ কিছু পরিবর্তন দেখা গেছে।

এ ছাড়াও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গ্লোবাল হেলথ ডার্মাটোলজির পরিচালক এবং করোনভাইরাস সম্পর্কিত ডার্মাটোলজি বিভাগের পরিচালক এথার ফ্রিম্যানও জেফ্রির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, করোনা রোগীর নখ পর্যবেক্ষণ করে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গেছে।

যেমন- নখের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হয় এমনকি নখের উপর উঁচু-নিচু ভাব দেখা দিতে পারে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর নখে অনেকটা গর্ত হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দেখা গেছে। করোনার প্রাথমিক অবস্থায় নখের মাঝখান থেকে ফাটল ধরা বা নখের ভেতরে ছোট ছোট লাল বা বেগুনি স্পট কিংবা নখে লাল অর্ধ চাঁদ দেখা যাওয়া ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.বিদুশি জৈন জানান, সার্স-কোভ-২ সংক্রমণে যদিও রোগীদের ক্ষেত্রে নখ পরিবর্তনের সঠিক প্যাথোজেনেসিস পুরোপুরি বোঝা যায়নি। তবে নখের নিচে লাল অর্ধ চাঁদ দেখা দিলে তা হতে পারে মাইক্রোভাস্কুলার ডিসঅর্ডার। যদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে এমন নখে এমন চিহ্ন দেখা যায়।

এই বিশেষজ্ঞ আরও জানান, নখের এই অবস্থাটি করোনা সংক্রমণের প্রথম দিকে দেখা যায়। এই লাল ব্যান্ডটি বেশ কিছু সময়ের জন্য স্থির থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নখে ঢেউ ঢেউ দাগ হতে পারে। একে বলা হয় ট্রান্সভার্স গ্রুভস। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে নখে ট্রান্সভার্স অরেঞ্জ নেইল দেখা দিতে পারে।

এক্ষেত্রে নখ অনেকটা মরে যাওয়ার মতো কালো বা কমলা রং ধারণ করে। এ ছাড়াও ওনাইকোমডেসিসও অর্থাৎ নখ চামড়া থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় নখের মাঝখান থেকে ফাটল ধরে রক্ত বের হতে পারে। প্লেট পৃথক হয়ে যায় যা অবশেষে ঝরনা বাড়ে, যাকে বলা হয়।

নখের এসব পরিবর্তনগুলো তখনই ঘটে থাকে; যখন কেউ গুরুতর সংক্রমণ, গুরুতর অসুস্থতা, ড্রাগস বা অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত থাকে। প্রথম দিকে নখের এসব পরিবর্তন দেখা না গেলেও, ধীরে ধীরে তা দেখা যেতে পারে। সাধারণত রোগের প্রায় এক বা দুই মাস পরে দেখা দেয়।

এ ছাড়াও ডায়াবেটিস রোগী এবং ছত্রাকের সংক্রমণে আক্রান্তরা যারা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করেন; তাদের ক্ষেত্রে নখে বিভিন্ন অস্বাভাবিকতা দেখা যায় বলে জানান ডা. বিদুশি জৈন।

সূত্র: হেলথ শটস/ওয়াশিংটন পোস্ট

Related posts

মস্তিষ্ক খাওয়ার অ্যামিবা সংক্রামিত রোগী মারা যান, মিসৌরি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা নিশ্চিত হন

News Desk

আক্রমণাত্মক কীটপতঙ্গ এই গ্রীষ্মে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন মঞ্চস্থ করতে পারে, বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন

News Desk

কোলন ক্যান্সার তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের আঘাত করে, পাশাপাশি বাড়ির উর্বরতা এবং এআই ওষুধের অগ্রগতি

News Desk

Leave a Comment